প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৩
আত্মবিশ্বাসের পথে

প্রিয়া, একজন প্রাণবন্ত মেয়ে। সে তার পরিবারকে খুব ভালোবাসে। তার বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মা গৃহিণী, আর ছোট বোন কেয়া তার সবচেয়ে কাছের সঙ্গী। প্রিয়া পড়াশোনায় খুব মনোযোগী এবং বই পড়তে তার বিশেষ ভালোবাসা। প্রিয়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় নিজের পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে বই পড়ে, আর শখের মতো গাছের প্রতি যত্ন নেয়।
তবে, প্রতিবেশীরা প্রিয়া এবং তার পরিবারকে নিয়ে প্রায়ই হাস্যকর কথা বলে। তারা মনে করে, প্রিয়া তাদের মত সহজ জীবনযাপন করছে না। তারা কেবল পারিবারিক সুখ দেখতে পায় না, বরং তাদের কাজ, ব্যবসা এবং প্রিয়ার বই পড়ার শখের কারণে ক্রমাগত সমালোচনা করে।
প্রিয়া জানত, মানুষের মনে অনেক প্রকারের ক্ষোভ থাকে। তার বাবা-মা অনেক কষ্টে সংসার চালায়, কিন্তু প্রতিবেশীরা যখন তাদের নিয়ে নানান খারাপ কথা বলে, তখন তা প্রিয়ার হৃদয়ে ক্ষত সৃষ্টি করত। তবুও প্রিয়া কখনোই তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমায়নি, কারণ সে জানত, একদিন সে তার পরিবারকে গর্বিত করবে।
একদিন, একটি বিশেষ ঘটনার পর, প্রিয়া তার মা-বাবার সঙ্গে বসে কথোপকথন করেছিল। তার বাবা বলেছিলেন, “প্রিয়া, তুমি কখনোই এসব কথা শুনে মনে কষ্ট করোনা। মানুষ কখনোই আমাদের সুখ দেখতে চায় না। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের কাজের প্রতি সৎ এবং নিষ্ঠাবান থাকি, তবে সময় আমাদের সব কিছু ফিরিয়ে দেবে।”
এই কথাগুলো প্রিয়াকে অনেক শক্তি দেয়। সে বুঝতে পারে, মানুষের কথা কখনোই তাকে থামাতে পারবে না। সে তার লক্ষ্যে আরো একাগ্র হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রিয়া জানত, একদিন তার শিক্ষার মুল্য তাকে সফলতার দিকে নিয়ে যাবে এবং তার পরিবারকে ঐতিহ্যবাহী সম্মান এনে দেবে। সেই সময় তার প্রতিবেশীরা যদি দেখতে পায়, তার মুখেও হাসি ফুটে উঠবে। তবে, সবচেয়ে বড় কথা হলো, প্রিয়া তার জীবনকে নিজের শর্তে এগিয়ে নিতে চাইছিল, অন্যদের মতামত দ্বারা নয়।