প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:১০
মতলব উত্তরে সৌদি মালিককে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে এলেন প্রবাসী মোবারক
সৌদি আরবের এক নাগরিককে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে মতলব উত্তর উপজেলায় নিজ গ্রামের বাড়ি মোহনপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে এসেছেন মো. মোবারক হোসেন নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আলী আহাম্মদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টারে এসে নামেন তারা। সৌদি আরবের ওই নাগরিকের নাম মির্জা আবু ফয়সাল। মোবারক হোসেন মোহনপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মৃত আ. সাত্তারের ছেলে। তিনি ৫ বছর আগে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে গিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, মোবারক হোসেন কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের বাসিন্দা মির্জা আবু ফয়সালের মালিকানাধীন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে মালিক (কফিল)-এর সঙ্গে সুসম্পর্ক হয় মোবারকের। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে দাম্মাম থেকে ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তারা। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেলিকপ্টার ভাড়া করে ঢাকা থেকে মতলব উত্তরে আসেন।
এদিকে প্রবাসী মোবারকের সঙ্গে তার সৌদি মালিকের গ্রামে আসার খবরে সকাল থেকেই উৎসুক জনতা আলী আহাম্মদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভিড় করে। সৌদি থেকে আসা নাগরিককে বরণ করে নিতে নেয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেলিকপ্টার আলী আহাম্মদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে হৈহুল্লোড় লেগে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন সৌদিপ্রবাসী মোবারক হোসেন ও তার কর্মস্থলের মালিক মির্জা আবু ফয়সালকে। পরে সেখান থেকে বাহেরচরের নিজ বাড়িতে মির্জা আবু ফয়সালকে নিয়ে যান মোবারক হোসেন। এ সময় মতলব উত্তর থানা পুলিশের ফোর্স, বোরোচর, চরকাশিম এবং বাহেরচর গ্রামের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসী মোবারক হোসেন বলেন, আমার কফিল (মালিক) একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ। তিনি বাংলাদেশ খুব পছন্দ করেন। কাজ করার সময় প্রায়ই বলতেন, আমি তোমার দেশে যাবো। তাই তাকে আনার সিদ্ধান্ত নেই। আমরা আগে থেকেই চিন্তা করি তাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে গ্রামে যাবো। সেজন্যে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে চলে আসি। তিনি ১ সপ্তাহ বাংলাদেশে থাকবেন। পরে একসঙ্গে আবার সৌদিতে চলে যাবো।
সৌদি নাগরিক মির্জা আবু ফয়সাল সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ আমার খুব ভালো লাগার একটি দেশ। আমি এর আগে শুনেছি বাংলাদেশের মানুষ খুব আন্তরিক। তাই মোবারকের সঙ্গে তার গ্রামে এসেছি। এখানে মানুষের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। এখানকার গ্রামীণ পরিবেশ আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।