বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:২২

হাইমচরে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় কাজ বন্ধ।। নিরীহ চা দোকানিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র

হাইমচরে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় কাজ বন্ধ।। নিরীহ চা দোকানিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র
মো. সাজ্জাদ হোসেন রনি

হাইমচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করে দেয়ায় চা দোকানি নূরুল আমিনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু ষড়যন্ত্র করেই শেষ নেয়, প্রবাসীর টাকার গরমে ঐ পরিবারের বেশিরভাগ মানুষই এ নিরীহ চা দোকানি নুরুল আমিন ও তার পরিবারকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে গালমন্দ করেন। প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখিন হচ্ছেন এই চা দোকানি।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাইমচর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের সৈয়দ আহাম্মেদের সাথে একই এলাকার রহমান ছৈয়ালের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। সৈয়দ আহাম্মদ ছৈয়ালের ভোগদখলে থাকা জমিতে জোরপূ্র্বক দলবল নিয়ে বসতঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন রহমান ছৈয়াল। সৈয়দ আহমেদ নিরূপায় হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত চলমান কাজের ওপর অস্থায়ী স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্যে হাইমচর থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চলমান নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্যে নোটিস প্রদান করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহমান ছৈয়াল একই বাড়ির আলগীবাজার থানার সামনের চা দোকানী নুরুল আমিনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তিনি চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত পত্রিকায় সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে 'থানার সামনে চায়ের দোকান।। প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করান।

এ বিষয়ে চা দোকানি নূরুল ইসলাম জানান, আমি একজন ক্ষুদ্র চা বিক্রেতা। আমার চাচা সৈয়দ আহম্মদের ২৪নং কমলাপুর মৌজার ১৫২নং খতিয়ান বিএস ১১৯৪ দাগে বাড়িতে ১২ শতক জমি রয়েছে। জীবিকার তাগিদে তিনি নারায়ণগঞ্জ থাকেন। বাড়িতে না থাকার সুযোগে ঐ জমিতে হঠাৎ করে রহমান ছৈয়াল জোর করে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তিনি সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় আদালত উভয়পক্ষের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। হাইমচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে অভিযুক্ত জায়গায় কাজ না করার জন্যে নোটিস দিয়ে আসে। এরপর থেকে রহমান ছৈয়াল গং আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। আপনারা তদন্ত করে দেখুন, আমি একজন চা দোকানি, আমি বছরেও ১ বার থানায় যাইনি। তারা আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে, আমার ক্ষতি করার জন্যে পাঁয়তারা করছে। আমাকে নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, আমি এর সাথে বিন্দুমাত্র জড়িত নই। আমাকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকিসহ গুম করে ফেলারও হুমকি দিয়ে আসছে রহমান ছৈয়াল ও তার পরিবারের লোকজন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়