প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৯
শাহরাস্তিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পেলেন নাজনীন জাহান রেনু
শাহরাস্তিতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৪ উপলক্ষে সফল জননী ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পেলেন নাজনীন জাহান রেনু। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনিসহ আরো দুই নারী শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, 'জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ' শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী (সফল জননী) ক্যাটাগরিতে শাহরাস্তি উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন নাজনীন জাহান রেনু। তিনি উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের আহম্মদনগর গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মৃত এমএ মালেক মাস্টার ও মৃত রাশেদা বেগমের মেয়ে এবং একই উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের কুলশি গ্রামের মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী। নাজনীন জাহানের ৬ সন্তানের মধ্যে ৫জন মেয়ে ও ১জন ছেলে। বড়ো মেয়ে আইনুন নাহার স্নাতক ডিগ্রিধারী, যিনি বাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা; দ্বিতীয় মেয়ে তাসলিমা ইয়াসমিন জাহান স্নাতক ডিগ্রিধারী, যিনি গ্রীন লাইফ স্কুলের শিক্ষিকা; তৃতীয় মেয়ে নূরে হাসনা সমাজকর্মে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী, যিনি বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী; চতুর্থ মেয়ে কামরুন্নাহার বাংলা বিষয়ে স্নাতক (সম্মান)সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী, যিনি পয়ালগাছা ডিগ্রি কলেজে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত; পঞ্চম মেয়ে আসমা আক্তার হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান)সহ স্নাতোকোত্তর ডিগ্রিধারী, যিনি নোয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। একমাত্র ছেলে ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তোহা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি সমাজকর্মে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন, যিনি বর্তমানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্যে বিদেশে পাড়ি জমানোর অপেক্ষায় রয়েছেন।
শাহরাস্তি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকছুদা আক্তার বলেন, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ‘জয়িতা’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন নাজনীন জাহান রেনু। জয়িতারা নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মূর্ত প্রতীক। কেবল নিজের অদম্য ইচ্ছাকে সম্বল করে আর চরম প্রতিকূলতাকে জয় করে জয়িতারা তৃণমূল থেকে সবার অলক্ষ্যে সমাজে নিজের জন্যে জায়গা করে নিয়েছেন। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এই জয়িতাদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছেন। উদ্যোগটির নাম জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ।