প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১৭
বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে ফরিদগঞ্জ আসলেন সৌদি নাগরিক
বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশে এসেছেন সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের নাগরিক আল ইব্রাহিম। তিনি বাংলাদেশে এসে এখানকার আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন। বাঙালি বন্ধু আব্দুল্লাহ ফারুকের সঙ্গে বন্ধন মজবুত করতে এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর ২০২৪) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পাইকপাড়া ইউজি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টারযোগে অবতরণ করেন।
জানা যায়, ফরিদগঞ্জের জামালপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ও শাহানারা বেগম দম্পতির একমাত্র পুত্র সন্তান আব্দুল্লাহ ফারুক গত ৮ বছর পূর্বে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। সেখানে তার ভগ্নিপতি এমরান হোসেন পাটওয়ারীর সৌদি মালিক আল ইব্রাহিমের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে তার। সম্প্রতি আব্দুল্লাহ ফারুক দেশে আসলে একই উপজেলার বালিথুবা গ্রামের মেয়ে সামিয়া সুলতানার সাথে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তার বিয়ের তারিখ ধার্য হয়। তিনি সৌদি আরবের নাগরিক বন্ধু আল ইব্রাহিমকে আমন্ত্রণ জানান।
সৌদি আরবের নাগরিক আল ইব্রাহিম জানান, আমার বন্ধু আব্দুল্লাহ ফারুক যখন আমাকে বিয়েতে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানায়, আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই। বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে তার থেকে জেনেছি। সেই থেকে তার বিয়েতে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাকে যখন ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার বন্ধুর পরিবার বরণ করেছে, তাদের এমন আতিথেয়তা ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ও সবুজের সমারোহ আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ থেকে চলে গেলেও আবার আসবো।
এদিকে আব্দুল্লাহ ফারুক বলেন, আমরা প্রবাসীরা জীবনের কঠোর বাস্তবতায় নিজ দেশ ও পরিবার ছেড়ে প্রবাসজীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়ে সেখানে থাকি। কিন্তু প্রবাসে যদি আমরা আমাদের কর্মদক্ষতা ও সততাকে কাজে লাগাই, তাহলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। যিনি আমার বিয়েতে যোগ দিতে আসছেন, তার সাথে পরিচয়ের পর বর্তমানে একই সাথে আমরা ব্যবসা করছি। তিনি আমার আপন ভগ্নিপতির মালিক হলেও আমার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রবাসে আমাদের বাঙালিদের দ্বারা বাঙালি ভাইদের ক্ষতি হচ্ছে। আমি চাই আমরা যারা প্রবাসে যাই, তারা যেনো সব সময় সততা ও আদর্শের মাধ্যমে কাজ করি। আমাদের নীতি-আদর্শ ভালো হলে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা আমাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করবে, এতে বাঙালিরাই লাভবান হবে।