প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১৩
রয়েছে চালকদের যোগসাজশ
সিএনজি অটোরিকশায় অভিনব কায়দায় পকেটমার
চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড হতে বাবুরহাট এবং বাবুরহাট থেকে চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড-- এই পথটুকুতে পকেটমার চক্র সক্রিয় থাকে। সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী হয়ে অভিনব কায়দায় সাথে থাকা যাত্রীর পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় এই চক্র।
এমনই একটি ঘটনা গত ৫ ডিসেম্বর ঘটে। এদিন বাবুরহাট বাজারের বিশিষ্ট সিমেন্ট ব্যবসায়ী ও বাবুরহাট শিশু একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সেলিম মজুমদার চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি অটোরিকশায় উঠেন বাবুরহাট যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তাঁর পাশে আরো দুজন যাত্রী ছিলো। অটোরিকশাটি টেকনিকাল স্কুল পার হওয়ার পর অপর দুই যাত্রী জানায়, তারা ফরিদগঞ্জ মুন্সিরহাটে যাবে। তাই ড্রাইভার সেলিম মজুমদারকে রাস্তায় নামিয়ে দেয় এবং তার কাছ থেকে ভাড়া না নিয়েই দ্রুত অটোরিকশাটি ঘুরিয়ে চলে যায়। সেলিম মজুমদার অটোরিকশা থেকে নেমে তার পায়জামার পকেটে হাত দিয়ে দেখেন, পকেটে থাকা ৪২ হাজার টাকা নেই।
সেলিম মজুমদার জানান, তাকে অটোরিকশা থেকে নামানোর পূর্বে এটি খুব স্পিডে এলোপাতাড়ি চালাচ্ছিলো ড্রাইভার, যাতে গাড়ির ঝাঁকুনির কারণে যাত্রী কোনো কিছু বুঝতে না পারে। আর এ সুযোগেই সেলিম মজুমদারের পাশে থাকা যাত্রীবেশী চোর তার পায়জামার পকেট থেকে টাকাগুলো নিয়ে যায়।
একই কায়দায় চার- পাঁচ মাস আগে অটোরিকশা করে বাবুরহাট থেকে চাঁদপুর আসার পথে বাবুরহাট কলেজের সহকারী অধ্যাপক মামুনুর রহমানের পকেট থেকে চার হাজার টাকা পকেটমার চক্র হাতিয়ে নেয়।
দুটি ঘটনা একই কায়দায় হওয়ায় এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান যে, চাঁদপুর-বাবুরহাট রোডে সংঘবদ্ধ পকেটমার চক্র রয়েছে। আর এসব ঘটনা অটোরিকশা চালকদের যোগসাজশেই হচ্ছে। তাই এই রুটে পকেটমার চক্রকে ধরিয়ে দিতে, প্রতিরোধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সচেতন সিএনজি অটোরিকশা চালকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ভুক্তভোগী যাত্রীরা।