প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর কণ্ঠের নিজস্ব ভবন হোক
চাঁদপুর কণ্ঠের সঙ্গে পরিচয় একযুগের বেশি হয়ে গেলো। এই পত্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে লিখছি, কাজ করছি। সব মিলিয়ে স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা অনেক। সবখানেই চাঁদপুর কণ্ঠ ও এর সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের জন্যে আলাদা সম্মান ও ভালোবাসা রয়েছে। গ্রামেগঞ্জে গেলেও চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠক পাওয়া যায়। নাম বললেই মানুষ চিনতে পারে। এই ভালোবাসা ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যই চাঁদপুর কণ্ঠের বড় পাওয়া।
|আরো খবর
চাঁদপুর কণ্ঠ এ জেলার প্রথম দৈনিক। মানে-গুণে অনন্য। প্রশাসন, সুধী-সমাজ, শিল্পাঙ্গনসহ সর্বত্রই পত্রিকার মানের প্রশংসা। স্বপ্ন দেখি চাঁদপুর কণ্ঠের একদিন নিজস্ব ভবন হবে। নাম হবে ‘চাঁদপুর কণ্ঠ ভবন’। চাঁদপুর কণ্ঠ একটি গ্রুপের মতো করে কাজ করবে। এটি অঙ্গ-সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রকাশনী থাকবে। বুক স্টল থাকবে।
স্বপ্ন দেখি, চাঁদপুর কণ্ঠ স্বল্প পরিসরে হলেও ঈদ ম্যাগাজিন করবে। যাতে চাঁদপুরের লেখকদের লেখাসহ বিশিষ্টজনদের লেখা থাকবে।
বছরে একদিন চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবারের আনন্দভ্রমণ হবে। সঙ্গে মতবিনিময়। আমাদের সহকর্মীরা ঘুরবে, আনন্দ করবে, অভিমত জানাবে।
সপ্তাহজুড়ে চাঁদপুর কণ্ঠের গ্রাহক বৃদ্ধির জন্যে ক্যাম্পিং হবে। নতুন নতুন গ্রাহক যুক্ত হবে চাঁদপুর কণ্ঠের সঙ্গে। চাঁদপুর কণ্ঠের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। সঙ্গে হতে পারে চাঁদপুর কণ্ঠ পাঠক সমাবেশ। পাঠকদের সঙ্গে মতবিনিময় হলো। কিছু সামাজিক কাজে যুক্ত থাকুক চাঁদপুর কণ্ঠ থেকে প্রকাশিত পাতাগুলো।
বিজ্ঞাপন উৎসবও হবে সপ্তাহজুড়ে বা দু-তিনদিন। গ্রাহক ও বিজ্ঞাপনদাতারা শুভেচ্ছামূল্যে বিজ্ঞাপন ছাপতে পারবে। কিছু পোস্টারও হবে শহরজুড়ে।
জানি স্বপ্ন দেখা সহজ, কিন্তু বাস্তবায়ন করা অনেক কঠিন। তবু বিশ্বাস করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে একটি একটি করে স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ নিবে। চাঁদপুর কণ্ঠ প্রাগ্রসর পত্রিকা। এটি আরও এগিয়ে যাবে। সাধ্যমতো ছিলাম, আছি, থাকবো ইনশাল্লাহ।
মুহাম্মদ ফরিদ হাসান : ২০১১ সাল থেকে চাঁদপুর কণ্ঠের সঙ্গে যুক্ত। লেখক ও গবেষক। প্রকাশিত গ্রন্থ ২০টি।