প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৩৭
চাঁদপুরজমিন হাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসা শিবির

রোববার (৬ এপ্রিল ২০২৫) চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী নানুপুর চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থিত চাঁদপুরজমিন হাসপাতালে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চক্ষু চিকিৎসার শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুফতি শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরজমিন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান, জাতীয় দৈনিক অনুপমা ও দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক এবং হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ মো. রোকনুজ্জামান রোকন ।
হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা ইয়াসমিন আক্তারের পরিচালনায় কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ রেদওয়ান আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মমিনপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার সহকারী মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, চন্দ্রা কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ মজিবুর রহমান ফরহাদ, বাগাদী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বাবুল মোল্লা, কুমিল্লা অন্ধকল্যাণ সমিতির সমন্বয়ক মো. দেলোয়ার হোসেন ও দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুর হোসেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা মুক্তা রাণী, বিশিষ্ট সমাজসেবক মমিনুল্লাহ মৃধা সহ অনেকে।
অনুষ্ঠান শেষে সকলের মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. শফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন , রোকনুজ্জামান রোকন মানুষের কল্যাণে যে কাজ করে যাচ্ছেন তা আমি নিজ চোখে দেখে আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করছি। কারণ আমি সব সময় টিভিতে ও পত্রিকায় দেখি, রোকনুজ্জামান রোকন সমাজসেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। উক্ত হাসপাতালের উদ্যোগে চক্ষু চিকিৎসার মতো মানবিক কাজ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আমি স্বচক্ষে আজ শত শত রোগীর উপস্থিতি দেখতে পেলাম। জনাব রোকনুজ্জামান রোকন বিনা ফিতে এবং বিনা স্বার্থে অসহায় রোগীদের কল্যাণের জন্যে কাজ করে যাচ্ছেন, আমি তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি। যার চক্ষু নেই, সে-ই বুঝে চোখের মর্যাদা কী। তিনি বলেন, হযরত হাফিজ হুজুর রহমাতুল্লাহি ৮৬ বছরেও চশমা ব্যবহার করন নি। আজ ছোট ছোট বাচ্চারাও চশমা ছাড়া চলতে পারেন না। কারণ আমাদের মধ্য থেকে বাবা-মায়েরা এখন ইউ টিউব এবং মোবাইল নিয়ে সারাক্ষণ দেখতে থাকেন। তাই ওই বাচ্চারাও এই ধরনেরই হয়। এজন্যে চোখের সমস্যা জটিল আকার ধারণ করছে। আমি অনুরোধ করবো, আপনারা যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন, মোবাইল থেকে দূরে থাকবেন, তাইলে চোখের সমস্যা হবে না।