চাঁদপুর কণ্ঠের ৩০ বছরে পদার্পণ : আমার কিছু কথা

চাঁদপুর কণ্ঠের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৩০ বছরে পদার্পণ হচ্ছে আগামী ১৭ জুন। এই শুভক্ষণের প্রাক্কালে আমি পত্রিকাটিকে অভিনন্দন জানাই, শুভ কামনা জানাই। এই দীর্ঘ পথচলায় পত্রিকাটির আমি নিয়মিত একজন পাঠক। আঞ্চলিক দৈনিক হিসেবে পত্রিকাটি নিরবচ্ছিন্ন প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছে। যা কিনা পত্রিকাটির সবচেয়ে বড় সফলতা হিসেবে আমি দেখছি।

পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক হলেন চাঁদপুর বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার। কিন্তু পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক কাজী শাহাদাতের নেতৃত্বে একঝাঁক সংবাদকর্মী পত্রিকাটিকে টিকিয়ে রাখার জন্যে এই দীর্ঘ পথচলায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই পত্রিকা থেকে চাঁদপুরের অনেক সাংবাদিক ও সম্পাদকের সৃষ্টি, যা কিনা পত্রিকাটির আরেকটি বড় সফলতা। পত্রিকার নিয়মিত বেশ ক’টি সাপ্তাহিক ফিচার পাতা রয়েছে। যেগুলোর আলাদা পাঠকও রয়েছে। এর মধ্যে পত্রিকার বড় অর্জন হলো বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন। যা কিনা জেলার শিক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অসংখ্য বিতার্কিক সৃষ্টি হয়েছে। যারা জেলা ছাড়িয়ে জাতীয় পর্যায়ে ভালো করেছে। একজন সাংবাদিক ও সম্পাদক হিসেবে বলতে চাই, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকাটি পাঠক সৃষ্টির ক্ষেত্রে শুরু থেকেই একটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। জনমত তৈরি করেছে। সেই ধারাবাহিকায় চাঁদপুরে আমার সম্পাদিত দৈনিক চাঁদপুর খবরসহ ২১টি দৈনিক নিয়মিত ও অনিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রত্যেকটিরই কম-বেশি পাঠক রয়েছে। মানের দিক দিয়ে দেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে চাঁদপুরের সংবাদপত্রের বিকাশ ঘটেছে সাফল্যজনকভাবে। এর পেছনে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠেরও একধরনের ভূমিকা কাজ করেছে। এখানে সংবাদপত্রের একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা রয়েছে। যদিও চাঁদপুরের সংবাদপত্রগুলোর নিয়মিত প্রকাশনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জিং।

গ্রাহকদের অকুণ্ঠ সমর্থন, বিজ্ঞাপনদাতা ও সুহৃদদের সহযোগিতাতেও চাঁদপুরের সংবাদপত্রগুলো টিকে আছে। সেই ১৯৯৪ সালে জন্মলাভ করে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ এই দীর্ঘ সংগ্রাম ও সাহসিকতার সাথে নিরবচ্ছিন্ন প্রকাশনা অব্যাহত রেখে ৩০ বছরে পদার্পণ করা সত্যিই প্রশংসা ও অভিনন্দন পাওয়ার দাবি রাখে।

শুধুমাত্র একজন সম্পাদক হিসেবে এটা কতোটা চ্যালেঞ্জিং ছিলো তা বলতে আমার দ্বিধা নেই। এর কৃতিত্ব আমি পত্রিকারটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশারের পাশাপাশি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক একজন পেশাদার সাংবাদিক কাজী শাহাদাতকে দিবো। তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময়েই এই পত্রিকার পেছনে ব্যয় করেছেন। যার কারণে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ আজকে এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।

আমি পত্রিকাটির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।

সোহেল রুশদী : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক চাঁদপুর খবর; সহ-সভাপতি চাঁদপুর প্রেসক্লাব।