প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২১, ০০:০০
হাইমচর উপজেলায় জ্বরের প্রাদুর্ভাব খুব বেশি দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে প্রায় প্রতিটি ঘরেই জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে ঘরোয়াভাবে চিকিৎিসা নিচ্ছে লোকজন। এ জ্বর ও কাশিতে শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউই রেহাই পাচ্ছে না। জ্বরের রোগী আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় করোনা ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে।
একই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা রোগীর সংখ্যাও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলায় করোনা শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া করোনা শনাক্তের ভয়ে অনেকেই ডাক্তারের কাছে না গিয়ে বাড়িতেই গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ গতকাল ২৮ জুলাই বুধবার ১ বছরের শিশুসহ ২০ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে এ উপজেলায় করোনা পজিটিভ হয়েছে ৪০২ জন। তবে নমুনা দিতে মানুষের অনীহা থাকায় উপজেলায় করোনা রোগীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
আলগী বাজার পল্লী চিকিৎসক টিটু বলেন, আমাদের এখানে দৈনিক ৪০জন রোগী আসলে তার মধ্যে ৩০-৩৫ জনই জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত। প্রতিদিন এই ধরনের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে কিছু রোগী আসে আশঙ্কাজনক। আমরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার জন্য বলি। তবে কোনো রোগীকে যদি করোনার নমুনা দেয়ার জন্য বলি তারা করোনার পরীক্ষা করাতে অনিহা প্রকাশ করে।