প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২১, ০০:০০
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্নগো এলাকায় জুস কারখানাটি মালিকের অবহেলায় শিল্প আইনণ্ডশ্রম আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছিল না। সংশ্লিষ্টরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করে রাষ্ট্রীয় ট্যাক্স ও শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি না দেয়ার মানসিকতায় অধিক মুনাফা বা লাভের আশায় উৎপাদন কার্যক্রম বেণ্ডআইনীভাবে পরিচালনা করে আসছিল। যার কারণে দাহ্য পদার্থে অগ্নিকাণ্ডের ফলে ৫২জন শ্রমিক অঙ্গার বা কয়লা হয়ে মৃত্যুবরণ করে। স্বজন এবং প্রশাসনের লোকও মৃত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে না পারায় নিহত শ্রমিকদের ও স্বজনদের ডিএনএ টেস্ট করার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করার পর লাশ দেওয়া হবে। এছাড়াও শোনা যায় যে, বহু শ্রমিকের লাশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে বা গুম করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলা বাসদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে নির্ণয় করতে হবে জুস কারখানার উৎপাদনে কতজন শিশু শ্রমিক, কতজন নারী শ্রমিক এবং কতজন পুরুষ শ্রমিক, কর্মচারীণ্ডকর্মকর্তা যুক্ত ছিলেন। তাদের সংখ্যা বের করার পর অগ্নিকাণ্ডে কতজন শ্রমিকণ্ডকর্মচারী আহতণ্ডনিহত হয়েছেন তার সংখ্যা অবিলম্বে দেশবাসীকে জানাতে হবে এবং আহতণ্ডনিহত সকলকেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিশেষ করে জেলা বাসদের দাবি হলো, নিহত প্রত্যেক শ্রমিককে আজীবনের আয়ের সমান (৪৫ লাখ টাকা) দিতে হবে। আহত শ্রমিকদের যথাযথ চিকিৎসা ও তাদের পরিবারের খাদ্য দ্রব্যাদিসহ সার্বিক দায়িত্ব নেয়ার দাবি জানায়ে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা বাসদের সমন্বয়ক কমরেড শাহজাহান তালুকদার, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের জেলা সভাপতি দিপালী রাণী দাস, বাসদ জেলা নেতা হারুনুর রশিদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সদর আহ্বায়ক আবু তাহের বন্দুকসী, সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ শেখ প্রমুখ।