প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের প্রসন্নকাপ গ্রামের মসজিদের ইমাম জাকির হোসেনের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। জাকির হোসেনের সাথে তার সৎ-ভাই আলী আজগরের দীর্ঘদিন থেকে সম্পত্তি-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে।
জাকির হোসেনের অভিযোগ, জাকির হোসেন ও তার অপর ভাই মকবুল ৩৯নং প্রসন্ন কাপ মৌজার ১৩১নং খতিয়ানে ২৬২৬ হাল দাগে পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত ২৭ শতক ভূমি (আপসমূলে বণ্টনকৃত) ও ক্রয়সূত্রে ৬ শতকসহ মোট ৩৩ শতক ডোবা জায়গা ভরাট করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। গত ২১ নভেম্বর তার সৎ ভাই আলী আজগর (৫০), তার পুত্র আব্দুর রহমান (২৪) ও ওহিদ (১৮) তাদের ভোগদখলীয় জায়গায় জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করার উদ্যোগ নিলে জাকির হোসেনের পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হয়। এ বাধাকে কেন্দ্র করে জাকির হোসেনের দ্বিতীয় ভাই তাফাজ্জল হোসেনের পুত্র আলাউদ্দিন, সৎ-ভাই আলী আজগর ও তার পুত্ররা জাকির হোসেন গংয়ের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বেদম মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। তাদেরকে মারধর করা ছাড়াও ৮/১০টি গাছ কেটে ক্ষতি সাধন করেছে।
এ ঘটনায় জাকির হোসেন গত ২১ নভেম্বর কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হওয়ার জন্যে বললে বিবাদী পক্ষ থানায় হাজির না হয়ে বরং গত ২৫ নভেম্বর উল্টো জাকির হোসেন গংয়ের বিরুদ্ধে চাঁদপুরের আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার সিআর নং ৪৭৭/২০২১। মামলা করা ছাড়াও তারা প্রতিনিয়ত জাকির হোসেন গংকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে।
জাকির হোসেন তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্নœ। এর কারণ হিসেবে জাকির হোসেন বলেন, বাড়িতে তার ১ প্রতিবন্ধী ছেলে। অপর দুই ছেলে ঢাকা ও নোয়াখালীতে লেখাপড়া করে। ইমাম হিসেবে তিনি অধিকাংশ সময় মসজিদে কাটান। তাদের অবর্তমানে স্ত্রী ও মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তার স্ত্রী-কন্যারা যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হতে পারেন।
এদিকে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় অধিবাসী আব্দুল খালেক ও আবুল খায়ের জানান, জাকির হোসেন ও তার ভাই-ভাতিজাদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে যে কোনো সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
ইমাম জাকির হোসেনের সৎ-ভাই আলী আজগর জানান, আমার সন্তানেরা পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ করেছে। আমরা কারো সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করিনি।