প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের ৩নং দুর্গাপুর গ্রামের সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী আবদুল জাব্বার মোল্লার নির্বাচনী প্রচারণায় হামলায় অন্তত ৪ জন আহত হয়েছে। ২৮ নভেম্বর রোববার রাত আনুমানিক ৮টায় সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী আবদুল জাব্বার ভোটারদের সাথে মতবিনিময় শেষে একটি মিছিল দুর্গাপুর বাজার থেকে শুরু করে দুর্গাপুর বালুর মাঠ হয়ে প্রধানিয়া বাড়ির নিকট দিয়ে যাবার সময় দুর্বৃত্তরা তাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে রবিন, সালাউদ্দিনের ছেলে মানিক, খলিলুর রহমানের ছেলে মুক্তার হোসেন, মুক্তার হোসেনের ছেলে রাকিব গুরুতর হয়। আহতদের রাতেই কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হামলার ঘটনার পর দুর্গাপুর বাজারে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের অফিস ভাংচুর হয়। সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী আবদুল জাব্বার বলেন, ওই ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোঃ বোরহান উদ্দিনের লোকজন দলবল নিয়ে মিছিলে হামলা ও দুর্গাপুর বাজারের বঙ্গবন্ধু পরিষদের অফিস ভাংচুর করে। অপর দিকে একই রাতে ওই বাজারে অবস্থিত ওয়ার্ড ছাত্রলীগের অফিস ভাংচুর হয়। এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম অফিস ভাংচুরের ঘটনায় বিএনপি নেতা দিদারসহ ১৪জনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মোঃ বোরহান বলেন, আমি শুনেছি প্রধানিয়া বাড়ির নিকট প্রধানিয়া বাড়ির লোকজনের সাথে মিছিলকারীদের বাকবিতণ্ডা হয়েছে। দুর্গাপুর বাজারে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও ছাত্রলীগের অফিসে ভাংচুরের ঘটনা নিন্দনীয়। কে বা কারা ভাংচুর করেছে তা আমি জানি না। স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও ছাত্রলীগের অফিসে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির ছবি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
কচুয়া থানার ওসি মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, দুর্গপুর গ্রামের রোববার রাতের ঘটনা দুই মেম্বার প্রার্থীর অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।