প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবার বেঁচে থাকার অবলম্বন ছিলো ছেলে আকাশকে ঘিরে। মাত্র ৯ম শ্রেণীতে পড়ছে আকাশ। বাবা সারাক্ষণ স্বপ্ন দেখতেন ছেলেটা একসময় বড় হয়ে সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু বিধিবাম। ফুটবল খেলতে গিয়ে পড়ে গিয়ে কোমরের মাংসপেশীতে ইনফেকশন দেখা দেয়। এরপর থেকেই কিডনিসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ড্যামেজের পথে। দ্রুত চিকিৎসা করাতে না পারলে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাবে আকাশ। আকাশকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ভারতে নিয়ে যেতে হবে। এজন্যে ৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু সন্তানকে চিকিৎসা করানোর কোনো উপায় নেই প্রতিবন্ধী বাবার। আকাশ কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের আমুজান গ্রামের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মাহবুব আলমের মেজো ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে ফুটবল খেলতে গিয়ে কোমরের হাড়ে গুরুতর আঘাত পায় নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম আকাশ। সে সময় চিকিৎসা করাতে গিয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবার সঞ্চয় ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি অপারেশন করানো হয়। কিন্তু অর্থাভাবে পরিপূর্ণ চিকিৎসা না হওয়ায় বর্তমানে আকাশের কোমরের দুটো মাংসপেশীতে ইনফ্লামেশন হয়েছে। এতে করে তার কিডনিসহ শরীরের অনেক অর্গান ড্যামেজের আশংকা করছেন চিকিৎসকরা। আকাশকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। এজন্যে প্রয়োজন প্রায় ৭ লাখ টাকা।
কিন্তু আকাশের বাবা নিজেই একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও দরিদ্র্। দরিদ্র বাবার পক্ষে এতো টাকা সংগ্রহ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যেখানে জীবিকা নির্বাহ করাই তার জন্যে কষ্টসাধ্য, সেখানে ছেলের চিকিৎসা করাবেন কী করে?
আকাশ বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলা সমাজসেবার অধীনে থেকে পড়ালেখা করছে। আকাশের চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে আগ্রহীরা তার বাবা মাহবুব আলমের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। মাহবুব আলম : বিকাশ ০১৮৩১-৯৭৬-৫৭৩, নগদ ০১৭২৭-৩০৯-৯০১ এবং আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের রহিমানগর শাখার একাউন্ট নম্বর : ০৯০১১২০০৯৪৭৫১।
আকাশের বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। আকাশ বর্তমানে বিনা চিকিৎসায় পঙ্গু হওয়ার পথে রয়েছে এমন বিষয়টি গোহট দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহারিয়ার শাহিন নিশ্চিত করে বলেন, মাহবুবের ছেলের উন্নত চিকিৎসায় কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন। তিনি বিত্তবানদের সহযোগিতার আহ্বান জানান।