প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
বিয়ের দাবিতে ভৈরবের বাবার বাড়ি থেকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের নাটেহরা গ্রামে এসে অনশনকারী অন্তঃসত্ত্বা তরুণী ভৈরবে ফিরে গেছে। প্রায় দেড়দিন অনশন শেষে প্রেমিক পুরুষের সাক্ষাৎ না পেয়ে রোববার সকালে ফিরে যাায় তরুণীটি। প্রেমিক পুরুষ হিন্দু আর তরুণী প্রেমিকা নওমুসলিম। এরা পরস্পর পরস্পরের চাচাতো ভাই-বোন। বেশ কয়েক বছর আগে মেয়েটির বাবা সপরিবারে ভৈরবে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জের নাটেহারা গ্রামের মাঝি বাড়ির লালু মাঝি ও নজরুল মিয়া (নওমুসলিম) আপন ভাই। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নজরুল মিয়া ভৈরবেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। চাচাতো ভাই রাজন (প্রেমিক) ভৈরবে চাকুরিকালে তার সাথে উক্ত তরুণীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। শনিবার সকাল থেকে মেয়েটি নাটেহরায় অনশন শুরু করে।
অনশনকারী তরুণী জানান, তার বাবা নজরুল মিয়া মুঠোফোনে এক প্রবাসীর সঙ্গে তার বিয়ে দেন। কিন্তু তার চাচা লালুর ছেলে রাজন (২৫) প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে এবং ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ধারণ করে। শুধু তাই নয়, তার প্রবাসী স্বামীকে সেই ছবিটি পাঠিয়ে দেয় এবং এ সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে ওই প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
এ বিষয়ে অনশনরত তরুণীর বড়বোন তাসলিমা বেগমের স্বামী মাছুম জানান, ভুক্তভোগীকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে সর্বনাশ করেছে রাজন। আমরা তার সুষ্ঠু সমাধান পেতে হাজীগঞ্জে এসেছি। এদিকে আমরা এ বাড়িতে এসেছি এমন খবরে রাজন আত্মগোপনে চলে যায়।
রাজনের মা শিখা রাণী বলেন, দুই মাস আগে ঘটনা জানতে পেরেছি। এখন ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেবো।
ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী মুঠোফোনে বলেন, শুনেছি মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। তাই এ তরুণীর সন্তান প্রসব করার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে। এ সমাধান মেনে নিয়ে মেয়েটি সকালে চলে যায়।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ জানান, এক তরুণী নাটেহরাতে এসে অনশন করছে এ কথা শুনেছি। তবে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা কি না বলতে পারবো না। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আমরা আইনগত সহায়তা করবো।