সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর পৌরসভায় হামলা ও ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও সেবা কার্যক্রম চলছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥
চাঁদপুর পৌরসভায় হামলা ও ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও সেবা কার্যক্রম চলছে

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে যাওয়া মাত্রই চাঁদপুর পৌরসভা কার্যালয়ও হামলার শিকার হয়। হামলায় পৌরসভার পুরাতন ভবনের নিচতলা পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। প্রথমে নিচে রাখা ৩টি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর কর আদায় ও লাইসেন্স শাখার থাই দরজা, জানালার কাচ ভাংচুর ও ভেতরে বিলের প্রিন্টের কাগজ, আসবাবপত্র মুহূর্তের মধ্যে তছনছ করা হয় । কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও কিছু আসবাবপত্র হয় উধাও। ভবনের সামনে দেয়া হয় আগুন। লুটপাট করা হয় তিনটি কম্পিউটার, তিনটি ল্যাপটপ ও তিনটি প্রিন্টার।

হামলাকারীরা ভবনের উপরে না ওঠায় পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও নথিপত্রসহ অন্যান্য সবকিছু অক্ষত রয়েছে। সেই দিনের ঘটনায় দেশের প্রাচীনতম এই পৌরসভার যা-ই ক্ষতি হয়েছে, ভয়-ভীতি-আতঙ্ক সত্ত্বেও সেই ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে বর্তমানে সেবা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।

পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন হাওলাদার জানান, ঐদিন সাধারণ ছুটি থাকায় পৌরসভা ছিলো বন্ধ। কিছু কর্মচারী ছিলেন সেখানে। মেয়র, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের কেউ কেউ ছিলেন কার্যালয়ে।

এ অবস্থায় ওইদিন ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনার এক পর্যায়ে কিছু দুষ্কৃতকারী পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা চালায়। এতে পৌরসভার কর আদায় ও লাইসেন্স শাখার প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে পুনরায় সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, হামলা- ভাংচুরের ঘটনার পর পৌর পরিষদের মেয়র, প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরগণ কেউ আর পৌরসভায় আসেননি। পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী ও পৌর নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আমরা যারা পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছি, তারা সবাই অফিস করছি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্যে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া ঢাকাতে গেছেন। ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করছি।

মফিজ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, স্বাভাবিক নিয়মে পৌরসভার কার্যক্রম চলছে। পৌর নাগরিকদের জন্ম সনদ, নাগরিক সনদসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পানির বিল, ট্যাক্সের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পৌরসভার তহবিলে জমা হচ্ছে। পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে খুব আতঙ্ক নেই। পৗরসভার তিনটি বিভাগের দশটি শাখার কার্যক্রম যথা নিয়মে চলছে এবং সবাই যথারীতি অফিস করছেন।

আজ ১১ আগস্ট রোববার থেকে পৌরসভার সকল কার্যক্রম পুরোপুরি ভাবে চলমান থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়