শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৪, ০০:০০

ধেয়ে আসছে রেমাল ॥ ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

অনলাইন ডেস্ক
ধেয়ে আসছে রেমাল ॥ ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ২৫ মে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এ পরিণত হয়েছে, যা সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-১ শক্তিমাত্রার ঝড় হিসাবে রোববার রাত থেকে সোমবার সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। নিজস্ব পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান রাত ৯টার দিকে জানান, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাছ ধরা সব নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে বলা হয়েছে। রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও ভারতের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যাবে। এ সময় বাতাসের গতি ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাবে, যা প্রচণ্ড দমকা ও ঝড়ো হওয়া হিসাবে ১২০ থেকে ১৩০ মিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে। ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৩০০ থেকে ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। চট্টগ্রাম ও বরিশালে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। ফলে চট্টগ্রামে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর মাঝামাঝি যে কোনো জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। পটুয়াখালী ছাড়াও সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট। বিডব্লিউওটি’র বার্তায় বলা হয়, এ ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ শক্তিমাত্রা হতে পারে ক্যাটাগরি-১।

এদিকে ২৫ মে সচিবালয়ে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শনিবার রাত থেকেই মহাবিপদ (১০ নম্বর) সংকেত দেখানো হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা বুঝতে পেরেছি ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। রাত ১২টা-১টা নাগাদ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি হতে পারে। এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পূর্বাভাস পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে রোববার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি মূল আঘাত হানবে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসাবে এরই মধ্যে ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমাদের প্রতিটি জেলার গুদামে পর্যাপ্ত শুকনো খাবারসহ যেসব জিনিস দরকার হবে, এগুলো মজুত রেখেছি। অতিরিক্ত প্রয়োজন হলে যেন ঢাকা থেকে সরবরাহ করা যায়, সেই প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে।

এর আগে আবহাওয়াবিদরা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে রেমালের প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে শুরু করবে রোববার বেলা ৩টা থেকে। সেক্ষেত্রে রোববার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। রেমাল একটি আরবি শব্দ। যার অর্থ ‘বালি’।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমানে যে অবস্থান দেখাচ্ছে তাতে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের ওপর দিয়েই অতিক্রম করার আশঙ্কা আছে। তবে বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকা এবং বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা জেলায় রেমালের আঘাত হানার আশঙ্কা বেশি বলে জানান আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রেমাল একটি ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়টি সর্বপ্রথম যেখানে আঘাত হানবে, সেখানের বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রেমালের গতিবেগ নিয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, সিডরের মতো অত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় নয় এটি, সিডরের থেকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল। সূত্র : যুগান্তর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়