শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০

বালিয়া ইউনিয়ন-১

প্রান্তিক কৃষক চিনেন না কৃষি কর্মকর্তাকে ॥ ফসল উৎপাদন ব্যাহত

সোহাঈদ খান জিয়া ॥
প্রান্তিক কৃষক চিনেন না কৃষি কর্মকর্তাকে ॥ ফসল উৎপাদন ব্যাহত

কৃষকদের সুবিধার্থে সরকার প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন। কৃষকরা চিনেন না এসব দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে। চাকরির সুবাদে দু-চারজন কৃষকদের ম্যানেজ করেই দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া উত্তর ও গুলিশা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ধীভাস চন্দ্র দাসকে অনেকেই চিনেন না। তিনি নিয়মিত ব্লক এলাকায় না গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানের চায়ের দোকানে বসে খোশগল্প করে চলে যান। প্রান্তিক কৃষকরা তাকে চিনেন না। এই কৃষি কর্মকর্তা গুটিকয়েক কৃষকের সাথে কথা বলে পরামর্শ দিলেও বাকি কৃষকদের পরামর্শ না দিয়ে দিনের পর দিন অনিয়ম করে যাচ্ছেন। ব্লক এলাকায় তার থাকার নিয়ম থাকলেও সেক্ষেত্রেও করছেন অনিয়ম। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও বিভিন্ন এলাকার গণ্যমান্যদের নিকট তার মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে রাখেন। কৃষকরা তাকে চিনার তো দূরের কথা তার মোবাইল ফোন নম্বরও নেই কৃষকদের নিকট। এ কর্মকর্তা প্রতিদিন মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ না দিয়ে চায়ের দোকানে বসে খোশগল্প করে চলে যান। দিনের পর দিন এভাবে অনিয়ম করে গেলেও তার অনিয়মের বিরুদ্ধে অসহায় কৃষকরা কোথাও অভিযোগ দেয়ার সাহস পায়না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন কৃষক জানান, আমরা আমাদের এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তাকে কখনো দেখি না। ওনাকে আমরা চিনিও না। আমরা নিজেরা পূর্ব থেকে যেভাবে কৃষি কাজ করে আসছি এখনো সেভাবে করে যাচ্ছি। কৃষি কর্মকর্তার পছন্দের লোকজন ধান, সারসহ সরকারি কৃষি জিনিস পেয়ে থাকে।

এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ধীভাস চন্দ্র দাস বলেন, আমি কৃষি এলাকায় যাই। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারের নিকট আমার মোবাইল ফোন নম্বর রয়েছে। আমাকে ফোন করলেই আমি যাবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়