প্রকাশ : ২১ মে ২০২৪, ০০:০০
পর্যায়ক্রমে পুরো ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সকল সড়ক আধুনিকায়ন করা হবে
-----------------আবুল খায়ের পাটওয়ারী
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাফুয়া গ্রামের লোকজনের দীর্র্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হতে চলেছে। সাফুয়া-জয়গঞ্জ সড়কের সিসি ঢালাই শুরু হওয়ায় বর্ষাকালে এই এলাকার লোকজন যেভাবে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাত তা পুরোপুরি দূর হবে। আশা করছি ঠিকাদার সিসি ঢালাইয়ের কাজ শেষে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজও দ্রুত শেষ করে মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে। বেশ ক’বছর ধরেই সড়কের কাজ অর্ধেক অবস্থায় রেখে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেয়ায় সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী লোকজনকে কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। সড়কটির কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে এলাকার জীবন মানের উন্নয়ন ঘটবে। আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পৌরবাসীর উন্নয়নে কাজ করছি। ইতোমধ্যেই আইইউজিআই প্রকল্পের ৪৪ কোটি টাকার দুটি প্যাকেজের কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরো ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সকল সড়ক আধুনিকায়ন করা হবে।
২০ মে সোমবার দুপুরে পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সাফুয়া-জয়গঞ্জ সড়ক নির্মাণ কাজের সিসি ঢালাই কাজ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার আল-আমিন, সাবেক কাউন্সিলর মজিবুর রহমান ও সিরাজ মাস্টারসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এই সড়কটির ঠিকাদার ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলার ওসমান এন্টারপ্রাইজ। কাজটি সেই সময়ে শুরু করলেও ঠিকাদার কাজের অর্ধেক করে হঠাৎ করেই চলে যান। পরবর্তীতে বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর ঠিকাদার আবারও সড়কের কাজ শুরু করেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা গণমাধ্যমকর্মী জাকির হোসেন সৈকত বলেন, সড়কটি নিয়ে ঠিাকাদারের চলে যাওয়া ছাড়াও সড়কের শুরুর অংশে ঝামেলা ছিলো। দীর্ঘদিন কাজ না করায় এই এলাকার মানুষকে নিদারুণ কষ্ট সইতে হয়েছে। সড়কের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আমরা বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর শরণাপন্ন হলে তিনি উদ্যোগ নিয়ে সড়কটির সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করেন। একই সাথে ঠিকাদারকে বাকি কাজ শেষ করতে চাপ প্রয়োগের ফলে তিনি অবশেষে কাজ শুরু করেন। আমরা মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞ।
সাবেক পৌর কাউন্সিলর মজিবুর রহমান বলেন, মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর প্রতি আমরা এলাকাবাসী কৃতজ্ঞ। তিনি তাঁর কথা রেখেছেন।