প্রকাশ : ২০ মে ২০২৪, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হলফনামা বিশ্লেষণ
আমীর আজম রেজার ব্যাংক ঋণ প্রায় ৮ কোটি টাকা, খাজে আহমেদের নগদ টাকা ২৫ লক্ষ টাকা
ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও এর মধ্যে ৩জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী যথাক্রমে ইঞ্জিনিয়ার আমীর আজম রেজা ও খাজে আহমেদ মজুমদার নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এদের মধ্যে আমীর আজম রেজা বিগত সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পচিালনা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে এবং খাজে আহমেদ মজুমদার অন্যতম ঘনিষ্ঠজন হিসেবে কাজ করেছেন। তারা দুজনই এখন চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। নির্বাচন উপলক্ষে এই দুই প্রার্থীর হলফনামা যাচাই করা হয়েছে।
আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা মোহাম্মদ আমীর আজম রেজার শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সিভিল টেকনোলজি। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। পেশায় প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার এই প্রার্থী বাৎসরিক বাড়ি বা দোকান ভাড়া পান ৩ লক্ষ ৫০ টাকা। ঠিকাদারি থেকে বছরে আয় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৩৮ টাকা। তার নগদ টাকা রয়েছে ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর কাছে ২০ হাজার টাকা। তার নিজের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয় রয়েছে ২৮ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে মাত্র ৫৬৭ টাকা। বিবাহের উপহার হিসেবে স্ত্রী স্বর্ণ পেয়েছেন ১০ ভরি, যদিও তার দাম উল্লেখ করেন নি। অন্যান্য খাতে আয় ৩ কোটি ১৯ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৬০ টাকা। নিজের নামে কৃষি জমি রয়েছে ১.৭৭৪৩ একর এবং অকৃষি জমি ১.৭৫ কাঠা। এছাড়া বিনিময় মূল্যের মাধ্যমে দুটি বাড়ির মালিক হয়েছেন।
আমীর আজম রেজা নিজের নামে প্রিমিয়ার ব্যাংক ঢাকা কাওরান বাজার শাখা থেকে ঋণ নিয়েছেন ৯০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫২৪ টাকা এবং যৌথ নামে ৪৮ লক্ষ ২ হাজার ৬০০ টাকা। এছাড়া এনআরবিসি ব্যাংক মতলব শাখা থেকে ঋণ নিয়েছেন ৬ কোটি ৭৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
এদিকে চিংড়ি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী খাজে আহমেদ মজুমদারের শিক্ষাগত যোগ্যতা এম কম। বর্তমানে তার কাছে নগদ ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর জমাকৃত টাকার পরিমাণ ৪ লাখ টাকা। পেশায় ঠিকাদার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খাজে আহমেদের ব্যবসা খাতে বছরে আয় ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ব্যবসা বহির্ভূত আয় ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে পৈত্রিকভাবে পেয়েছেন দালান। নিজ নামে উপহারের ২০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে, তার দাম উল্লেখ করেছেন ২ লক্ষ টাকা। পৈত্রিক বাড়িতে একমাত্র দালান ছাড়া কোথাও কৃষি-অকৃষি জমি, বাড়ি-এপার্টমেন্টসহ কোনো সম্পত্তি নেই বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চারটি মামলার মধ্যে আদালতে দুটি ফৌজদারি মামলা চলমান এবং দুটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে খাজে আহমেদ মজুমদার চিংড়ি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৈত্রিক বাড়িতে একমাত্র দালান ছাড়া কোথাও কৃষি-অকৃষি জমি, বাড়ি-এপার্টমেন্টসহ কোনো সম্পত্তি নেই বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।