প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ১৪ মে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকায় ‘কামরাঙ্গা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও তথ্য-উপাত্তবিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মানহানিকর বিধায় এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদে যে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, তাতে স্বাক্ষর জাল করে চরম জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে।
সংবাদে প্রকাশিত মোঃ আবদুস সোবহান বর্তমানে কামরাঙ্গা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা গভর্নিংবডির কোনো সদস্য নন এবং যে দুজন অভিভাবক সদস্যের বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে তন্মধ্যে মোঃ আবদুর রহিম এবং অভিভাবক সদস্য বাবুল খন্দকার গত ৩ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখের সভায় এবং ৪ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখের নিয়োগপত্র প্রদান সভায় উপস্থিত হয়ে রেজ্যুলেশন রেজিস্ট্রারে যথারীতি স্বাক্ষর করেন। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগপত্রে অভিভাবক সদস্য মোঃ আবদুর রহিমের স্বাক্ষর জাল করে ব্যবহার করা হয়েছে, যা তাঁর সাথে টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে গত সোমবার (১৩/০৫/২৪খ্রিঃ) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করেছেন বলে যে উল্লেখ করা হয়েছে তাও তার সাথে আলাপকালে বানোয়াট হিসেবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রকাশিত সংবাদে ২৮/১০/২০২৩খ্রিঃ তারিখের নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষায় গভর্নিংবডির ৭ সদস্য কর্তৃক নিয়োগ বাতিলের যে তথ্য বর্ণিত হয়েছে তার প্রকৃত ব্যাখ্যা হলো, অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বোর্ডের ও ৫ সদস্যের সবাই এবং অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বোর্ডের ৫ সদস্যের মধ্যে ৪ জনই রেজাল্ট শীটে স্বাক্ষর করেছেন। নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ছাড়া গভর্নিং বডির সদস্যদের এ বিষয়ে মতামত প্রদানের আইনগত কোনো সুযোগ নেই। ০৩/০৫/২৪খ্রিঃ তারিখের মিটিংয়ে বর্তমানে মাদ্রাসার ২ জন শিক্ষক প্রতিনিধি এবং ১ জন সদস্য সচিব (মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ)সহ ৭ জন বৈধ প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে রেজ্যুলেশন এবং উপস্থিতি রেজিস্ট্রার স্বাক্ষর প্রদান করেছেন, যা কোরাম অনুযায়ী (১২ সদস্যের মধ্যে ৭ জন) সম্পূর্ণ সঠিক ছিলো। তাছাড়া নিয়োগ চূড়ান্ত অনুমোদন ও এমপিও অনুমোদনের বৈধ কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ছাড়া অন্য কেউ নয়। সভাপতি চাপ সৃষ্টি করে একজন সদস্যের স্বাক্ষর নিয়েছেন বলে যে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হয়েছে তাও সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বিধায় এ বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সর্বশেষ যে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হয়েছে তা হলো : ‘সভাপতিকে একাধিকবার ফোন করে পাওয়া যায়নি’ তাও সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পক্ষান্তরে আমাকে কেউই এ বিষয়ে কোনো টেলিফোন করেনি। প্রকাশিত এ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে পত্রিকায় বর্ণিত সংবাদের বিরুদ্ধে আমি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
-একেএম মামুনুর রশিদ
সভাপতি
গভর্নিংবডি কামরাঙ্গা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর।
জিডি ৩১৮/২৪