দাখিলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ জন, শতকরা পাসের হার ৭৮

গত রোববার প্রকাশিত দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে হাজীগঞ্জের ২৩টি মাদ্রাসার মধ্যে একটিও শতভাগ পাস করতে পারেনি। উপজেলা থেকে এবার ১১৫৩ জন অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৯০২ জন। পাসের হার ৭৮.২৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ জন, এ গ্রেড ৩১৫ জন, এ মাইনাস ২৬২ জন, বি গ্রেড ১৭৯ জন ও সি গ্রেড ৯৫ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২৫১ জন।

প্রকাশিত ফলাফলে উপজেলায় জিপিএ-৫-এর দিক থেকে সেরা অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১০৭ জন। পাসের হার ৭৭.৫৪ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ জন, এ গ্রেড ৩৪ জন, এ মাইনাস ১৬ জন, বি গ্রেড ৩০ জন ও সি গ্রেড ৬ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৩১ জন।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাপাইকাপ আলিম মাদ্রাসা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৬৫ জন। পাসের হার ৯৩.৯৫ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন, এ গ্রেড ১৫ জন, এ মাইনাস ১৩ জন, বি গ্রেড ১৪ জন ও সি গ্রেড ১৫ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৬ জন।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজারাগাঁও ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৯৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৮৮ জন। পাসের হার ৯০ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন, এ গ্রেড ৪৮ জন, এ মাইনাস ২৩ জন, বি গ্রেড ৭ জন ও সি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১০ জন।

এছাড়া নেছারাবাদ ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা থেকে ৪৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩৩ জন। পাসের হার ৭৩.৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, এ গ্রেড ১১ জন, এ মাইনাস ১২ জন, বি গ্রেড ৪ জন ও সি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১২ জন।

রামচন্দ্রপুর ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা থেকে ৩১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩০ জন। পাসের হার ৯৬.৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৬ জন, এ মাইনাস ১৩ জন, বি গ্রেড ১০ জন ও সি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১ জন।

সুহিলপুর এবিএস ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা থেকে ৬৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৪৫ জন। পাসের হার ৭১.২৯ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, এ গ্রেড ৭ জন, এ মাইনাস ১১ জন, বি গ্রেড ২০ জন ও সি গ্রেড ৬ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৯ জন।

ছালেহ আবাদ এম.এন. ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা থেকে ৫৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৪৫ জন। পাসের হার ৮০.৩৬ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ২২ জন, এ মাইনাস ১২ জন, বি গ্রেড ৯ জন ও সি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১১ জন।

বেলচোঁ কারিমাবাদ ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা থেকে ৫৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৪৭ জন। পাসের হার ৮৭.০৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, এ গ্রেড ১৭ জন, এ মাইনাস ১৫ জন, বি গ্রেড ৯ জন ও সি গ্রেড ৪ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৭ জন।

সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা থেকে ৩৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩৩ জন। পাসের হার ৮৬.৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, এ গ্রেড ১১ জন, এ মাইনাস ১২ জন, বি গ্রেড ৭ জন ও সি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৫ জন।

নওহাটা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা থেকে ৯১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৭৬ জন। পাসের হার ৮৪.৫২ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, এ গ্রেড ৩৯ জন, এ মাইনাস ২০ জন, বি গ্রেড ৯ জন ও সি গ্রেড ৬ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৫ জন।

বাকিলা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২২ জন। পাসের হার ৬২.৮৬ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, এ গ্রেড ১১ জন, এ মাইনাস ৪ জন, বি গ্রেড ২জন ও সি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৩ জন।

বলাখাল এন.এম. আলিম মাদ্রাসা থেকে ৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৭ জন। পাসের হার ৪৩.৬০ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৩ জন, এ মাইনাস ৬ জন, বি গ্রেড ৫ জন ও সি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২২ জন।

কাকৈরতলা ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৪০ জন। পাসের হার ৮০ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৫ জন, এ মাইনাস ৮ জন, বি গ্রেড ১১ জন ও সি গ্রেড ১৬ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১০ জন।

দেশগাঁও দারুস সুন্নাহ ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২৬ জন। পাসের হার ৮১.২৫ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১০ জন, এ মাইনাস ১১ জন, বি গ্রেড ৩ জন ও সি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৬ জন।

রাজাপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২৩ জন। পাসের হার ৬৩.৮৯ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৮ জন, এ মাইনাস ১০ জন, বি গ্রেড ৩ জন ও সি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৩ জন।

মদিনাতুল উলুম ইসলামীয়া দাখিলা মাদ্রাসা থেকে ৫২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩৫ জন। পাসের হার ৬৭.৩০ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ২ জন, এ মাইনাস ৮ জন, বি গ্রেড ১৩ জন ও সি গ্রেড ১২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৭ জন।

মাদরাসে আবেদীয়া মোজাদ্দেদীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৪১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৯ জন। পাসের হার ৪৬.৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১ জন, এ মাইনাস ৫ জন, বি গ্রেড ৮ জন ও সি গ্রেড ৫ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২২ জন।

ডাটরা শিবপুর আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২৮ জন। পাসের হার ৭৫.৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১২ জন, এ মাইনাস ১১ জন, বি গ্রেড ৪ জন ও সি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৯ জন।

উচ্চগাঁও ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২২ জন। পাসের হার ৬২.৮৬ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৭ জন, এ মাইনাস ১০ জন, বি গ্রেড ৪ জন ও সি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৩ জন।

রাজাপুর ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে থেকে ৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩৭ জন। পাসের হার ৯৪.৮৭ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, এ গ্রেড ১৬ জন, এ মাইনাস ১৭ জন ও বি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন।

শ্রীপুর মকবুল আহমেদ ইছমাইলীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২২ জন। পাসের হার ৯৫.৬৫ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১১ জন, এ মাইনাস ৪ জন, বি গ্রেড ৪ জন ও সি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১ জন।

হাজেরা আলী ক্যাডেট দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২৮ জন। পাসের হার ৮৭.৫০ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১৫ জন, এ মাইনাস ১২ জন ও বি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৪ জন।

আলী আহমেদ ইসলামিয়া একাডেমিক দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৪ জন। পাসের হার ৮৭.৫০ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৪ জন, এ মাইনাস ৯ জন ও বি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন।