সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

বাড়ছে যানবাহন, বাড়ছে দুর্ভোগ

চাঁদপুর সদরে যানজট নিরসনে তিন স্থানে ট্রাফিক পুলিশ দেয়ার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥
বাড়ছে যানবাহন, বাড়ছে দুর্ভোগ

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী চৌরাস্তা, মহামায়া বাজার ও হরিণা ফেরিঘাট থেকে শুরু করে চান্দ্রা বাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত তিনটি স্থানে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ দেয়ার দাবি এলাকাবাসীর। জনগুরুত্বপূর্ণ এই স্থানগুলোতে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়ে জেলা ও জেলার বাহির থেকে আসা লোকজন। বিশেষ করে এসব স্থান দিয়ে প্রতিদিন আন্তঃজেলা পরিবহন চলাচল করে।

সরেজমিনে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের মহায়মায়া বাজার, চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের বাগাদী চৌরাস্তা মোড় ও হরিণাঘাট থেকে চান্দ্রা চৌরাস্তা মোড়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজট লেগে থাকার দৃশ্য চোখে পড়ে।

বাগাদী চৌরাস্তা মোড়ে চাঁদপুর-রায়পুর সড়ক, কামতাণ্ডগল্লাক সড়ক, নানুপুর-হরিণা সড়ক, চৌরাস্তা ইচলী সড়ক থেকে যানবাহন চলাচল করে। যার ফলে চৌরাস্তায় যাত্রী উঠানোর জন্যে অটোবাইক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা থামিয়ে রাস্তার দুপাশ দখল করে রাখে। এসব কারণে রাস্তা প্রশস্ত থাকলেও যানবাহন রাখায় সরু হয়ে যায়। এরপর রাস্তার পাশে অবৈধভাবে দখল করে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই।

চাঁদপুর সদরের ব্যস্ততম সড়ক চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক। এই সড়কের মহামায়া বাজারের দুপাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তারা দোকানের সামনের জায়গা দখল করে রেখেছে। এর পাশাপাশি ছোট যানবাহনগুলো সড়কের দুপাশ জুড়ে অবস্থান নেয়। যে কারণে এই স্থানটিতে দিন ও রাতে যানজট লেগে থাকে। তবে সম্প্রতি এই বাজারটি নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযান পরিচালনা করে বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করে সতর্ক করেন।

হরিণা ফেরিঘাট থেকে শুরু করে চান্দ্রা চৌরাস্তা পর্যন্ত এই সড়কে আন্তঃজেলা পরিবহন চলাচল করে। যে কারণে যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে চান্দ্রা চৌরাস্তায় অবৈধভাবে সড়কের জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন রাখায় এই স্থানটিতেও প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে।

চান্দ্রা চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা মহিনুল ইসলাম জানান, এখানে যানজট হয় প্রতিনিয়ত। নিয়ম শৃঙ্খলার জন্যে অবশ্যই ট্রাফিক পুলিশ দেয়া জরুরি।

বাগাদী চৌরাস্তা এলাকার মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী রায়হান জানান, এখানে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজট থাকে। বিশেষ করে রাস্তার দুপাশে ২০-৩০টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা অবস্থান করায় রাস্তা সরু হয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশ ছাড়া যানজট নিরসন ও সড়কে শৃঙ্খলা আসবে না।

একই এলাকার ব্যবসায়ী মদিনা হার্ডওয়ারের স্বত্বাধিকারী রাকিব মিয়াজী বলেন, এখানে যানজট হলে রাস্তায় মানুষ হাঁটতেও কষ্ট হয়। সকালে এবং বিকেল বেলায় গাড়ির সংখ্যা বাড়ে। তখনই যানজট সৃষ্টি হয়। এই স্থানটিতে ট্রাফিক পুলিশ দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

মহামায়া বাজারের ব্যবসায়ীরা জানালেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, বাজারের অটোবাইক ও অটোরিকশার ভিন্ন ভিন্ন স্ট্যান্ড আছে। এসব স্ট্যান্ড থেকে কিছু লোক ইজারা নিয়ে টাকা আদায় করে। যার ফলে বাজারে যানজট সৃষ্টি হয়। যেখানে বাস থামে সেখানে ছোট গাড়িগুলো না থাকলে ভাল হয়। সর্বোপরি ট্রাফিক পুলিশ সদস্য থাকলে এখানেও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়