প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
হাজীগঞ্জসহ জেলার সব উপজেলায় ড্রেজারের ওপর ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। ক’দিন যাবৎ লাখ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় অবৈধ ড্রেজার মালিকদের থেকে। কিছু ড্রেজার আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। প্রশাসনের এমন কঠোরতার কারণে অনেক ড্রেজার ব্যবসায়ী গুটিয়ে নিয়েছে তাদের ব্যবসা। কিন্তু বিভিন্ন দৃশ্য দেখা গেল হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের লাওকোরায়। লাওকোরা পশ্চিম মাঠ ও বেলঘরের একটা অংশে নির্ভয়ে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে কৃষি জমি থেকে বালু উত্তোলন করে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড্রেজার মালিক বেলঘর গ্রামের জসিম উপজেলা প্রশাসন (ইউএনও অফিস)কে ম্যানেজ করে নাকি ড্রেজার চালাচ্ছেন। এছাড়াও স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা ও সংবাদকর্মীকে অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করারও অভিযোগ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লাওকোরা গ্রামের একজন ২৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, ড্রেজারটি প্রায় ২০-২৫ দিন আগে এখানে আসে। তবে তখন চারদিকে ড্রেজারের ওপর প্রশাসনের কঠোরতার কারণে চালায়নি। গত ৫ দিন ধরে হঠাৎ ড্রেজারটি চালানো শুরু হয় । ড্রেজার মালিক ও তার সহযোগীরা এলাকায় বলেন যে, ইউএনও অফিসের অনুমতি নিয়ে চালাচ্ছেন। প্রশাসনও এ ড্রেজারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা এখনো নেয়নি।
এদিকে প্রশাসনের নীরবতা দেখে এলাকার লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন অনেকে। টানা ক’দিন যাবৎ ড্রেজারটি চললেও প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তবে উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা অস্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। তিনি বলেন, আমি এবং আমার অফিসের কাউকে ম্যানেজ করার কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ড্রেজার মালিক জসিম চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, ১৫ আগস্ট উপলক্ষে এক যুবলীগ নেতাকে চাঁদা দিয়েছি। অল্প ক’দিন চালানো হবে ড্রেজারটি। আরেক প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।