প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
জাতীয় মাছ ইলিশ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া গেলেও স্বাদে ও ঘ্রাণে চাঁদপুরের ইলিশের তুলনা নেই। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার ইলিশপ্রেমী চাঁদপুরে চলে আসেন আসল ইলিশের স্বাদ ও ঘ্রাণ নিতে। কর্মব্যস্ততা, পরিবার, ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়াতে সমস্যা, পরিবহন খরচ বেশিসহ নানা কারণে যারা ইলিশ কিনতে চাঁদপুরে আসতে পারেন না; তাদের জন্যে কাজ করছে ই-ফেরিওয়ালা। ফেসবুক পেজ (িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/বভবৎরধিষধ.বংযড়ঢ়/) ও ওয়েবসাইটে (িি.িবভবৎরধিষধনফ.পড়স) চলছে তাদের কার্যক্রম। যারা চাঁদপুরের প্রকৃত রূপালি ইলিশ কিনতে চান তাদেরকে হাতে হাতে, কুরিয়ার সার্ভিস, বাস, ট্রেন, লঞ্চ কিংবা মাছ পরিবহনের ট্রাকে করে চাঁদপুরের ইলিশ প্রেরণ করে থাকে ই-ফেরিওয়ালা।
ই-ফেরিওয়ালার উদ্যোক্তা এইচএম জাকির। তিনি জানান, আমি সারাদেশে ইলিশ প্রেরণ করে থাকি ২০০৬ সাল থেকে।
প্রায় ১৫ বছর ইলিশ নিয়ে কাজ করলেও ই-ফেরিওয়ালা হয়ে ওঠেন মূলত ইলিশকে কেন্দ্র করে জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের পর থেকেই।
তিনি আরো জানান, চাঁদপুরের ইলিশ স্বাদের হওয়ায় মানুষদের অনুরোধে তাদেরকে ইলিশ প্রেরণ করে ই-ফেরিওয়ালা।
২০১৫ সালে ইলিশের নামে জেলা ব্র্যান্ডিং হওয়ায় চাঁদপুরকে সারাদেশের মানুষের কাছে আরও বেশি উন্থাপন করা শুরু করে ই-ফেরিওয়ালা। ই-ফেরিওয়ালা স্বপ্ন সমগ্র দেশবাসী ইলিশের নাম নিতেই চাঁদপুরকে মনে করবে।
জানা গেছে, চাঁদপুরের স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ সংগ্রহ করে ই-ফেরিওয়ালা। জেলেদের কাছ থেকে চাঁদপুরের ইলিশ সংগ্রহ ছাড়াও ই-ফেরিওয়ালা চাঁদপুরের প্রখ্যাত কাজী ফিস ট্রেডার্সের সহযোগী ও অনলাইন প্রতিষ্ঠান। কাস্টমারের চাহিদা থাকায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্যোক্তা এইচএম জাকির চাঁদপুরের ইলিশ ছাড়াও স্থানীয় নদীর সকল প্রকার তাজা মাছ প্রেরণ করে থাকেন। যাদের চাহিদা চাঁদপুরের রূপালি ইলিশ, তাদেরকে শতভাগ নিশ্চয়তায় চাঁদপুরের রূপালী ইলিশ দিয়ে আসছে ই- ফেরিওয়ালা। আগামীতে আরো বড় পরিসরে ই-ফেরিওয়ালা কাজ করবে বলে জানান এইচএম জাকির।