বিশিষ্ট শিল্পপতি জিএম কাদেরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ পূর্বক শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যকরি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। তিনি বলেন, জিএম কাদের আমার একজন বিশ্বস্ত মানুষ ছিলেন। আমি যখন যেখানে যেতাম সে আমার সফর সঙ্গী হিসেবে সবসময় নিঃস্বার্থভাবে আমাকে সময় দিয়েছেন। তার মৃত্যুতে আমি একজন বিশ্বস্ত মানুষকে হারালাম। মহান সৃষ্টিকর্তা তাকে পরপারে ভালো রাখবেন এ প্রত্যাশা করছি।

মরহুম জিএম কাদের গত ৪ মার্চ রাত আনুমানিক ১০টার দিকে তার দেশের বাড়ি ফরক্কাবাদ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সড়ক পথে নিজ গাড়ি করে রওনা হন। পথিমধ্যে বৈদ্যর বাজার নামক স্থানে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা নেয়ার পথে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে........রাউজান)। মরহুমের মৃতদেহ তাৎক্ষণিক তার ঢাকাস্থ মিরপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সকালে মিরপুরে প্রথম জায় নামাজ শেষে তার মরদেহ তার দেশের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ গুলিশা নিয়ে আসা হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এ সময় অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান। এলাকায় দানশীল ব্যক্তি হিসেবে তার ছিলো ব্যাপক পরিচিতি। বাদ যোহর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরের স্থানে তাকে দাফন করা হয়। ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ১০নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ আলম, চাঁদপুর পৌরসভার কর্মকর্তা জহির উদ্দিন, ফরক্কাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ হান্নান মিজি, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ শরীফ, কিশোর সিংহ রায়, জেলা যুবলীগ নেতা তিমির নাহা, জেলা ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হাসান, টুটন মজুমদার, মরহুমের বড় ভাই মোঃ সাঈয়েদ হোসেন, মরহুমের বড় ছেলে নাজমুল হোসেন সাকীসহ বহু মুসল্লি ও শুভানুধ্যায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।