বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

পূর্ব ধলাইতলী আঃ জলিল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ
সংবাদদাতা ॥

মতলব দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব ধলাইতলী আঃ জলিল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। শনিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২০২২ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুপার, সহ-সুপার, আয়া, নৈশ প্রহরী, পরিচ্ছন্ন কর্মী এসব পদের বিপরীতে ৩৪ জন প্রার্থী আবেদন করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠালগ্নে জয়নুল আবেদীন সহ-মৌলভী পদে এ মাদ্রাসায় নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এ প্রতিষ্ঠানে তিনি ৩০/৩৫ বছর যাবত চাকুরি করেন। তিনি সিনিয়র শিক্ষকদের ডিঙ্গিয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার পদ বাগিয়ে নেন। এই পদে কাউকে নিয়োগ না দিয়ে এখনো তিনি বহাল তবিয়তেই আছেন। নিয়োগ পরীক্ষায় নৈশ প্রহরী পদে তার দু ছেলে ও আয়া পদে তার দু কন্যা আবেদন করেন।

আঃ জলিল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ মোফাজ্জল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আজকে সুপার জয়নাল আবেদিন ছুটিতে আছেন। আমরা তাকে ছুটিতে রেখেছি। তার পরিবর্তে অন্য এক শিক্ষককে সুপারের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। কিছু সময় পর দেখা যায়, ডিজি প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসাইনকে তিনি রিসিভ করে কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। তারপর তিনি পরীক্ষার উত্তরপত্রের খাতায় স্বাক্ষর করেন। এ বিষয়ে ডিজি প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসাইনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সুপারের পরিবারের সদস্য নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে এ তথ্য আমি এখানে এসে জানতে পেরেছি। আমরা তাকে কেন্দ্রে রাখলেও উত্তরপত্র এবং প্রশ্নপত্র থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। তার এক ছেলে নিয়োগ পরীক্ষা থেকে বিরত রয়েছে। এমন সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাঝে পূর্ব ধলাইতলী আঃ জলিল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

সহ-সুপার পদে ৯জন, আয়া পদে ৭জন, নিরাপত্তা কর্মী পদে ৬জন, পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে ৬জন, নৈশ প্রহরী পদে ৬জন সহ পাঁচটি পদে ৩৪জন প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। কিন্তু সুপার পদে কোনো প্রার্থী না থাকায় এ পদে পরীক্ষা হয়নি। তাছাড়া নৈশ প্রহরী পদে একজন প্রার্থী থাকায় নিয়োগ বোর্ডে থাকা কর্মকর্তারা বাকি প্রার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে আনতে ব্যস্ত হয়ে মোবাইল ফোনে কল দিতে দেখা যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ আলী রেজা আশরাফি, অভিভাবক কমিটির সদস্য মোস্তফা কামাল, শিক্ষক প্রতিনিধি ইউসুফ খানসহ আরো অনেকে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়