প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
![সহদেবপুরে ৫০ বছর পর আদালতের মাধ্যমে বেদখল হওয়া সম্পত্তি ফিরে পেলো অসহায় এক পরিবার](/assets/news_photos/2022/11/29/image-26591.jpg)
কচুয়া উপজেলার সহদেবপুরে দীর্ঘ ৫০ বছর পর আদালতের মাধ্যমে বেদখলকৃত সম্পত্তি ফিরে পেয়েছে অসহায় একটি পরিবার। ২৮ নভেম্বর সোমবার সকালে চাঁদপুর জেলা যুগ্ম জজ আদালতের মাধ্যমে লাল নিশান টানিয়ে ভূমি সার্ভে করে ভুক্তভোগী পরিবারকে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়া হয়। এতে ভুক্তভোগীদের সম্পত্তিতে জোরপূর্বক গড়ে ওঠা বসতঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা যুগ্ম জজ আদালতের পক্ষে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইবনে আল জায়েদ হোসেন। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুগ্ম জজ আদালতের নায়েব নাজির গাফফার খান নাদিম। এছাড়া ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, কচুয়া থানা পুলিশ, প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, আমরা আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে এসেছি। এছাড়া আমাদের আর কোনো বক্তব্য নেই। কারো কোনো অভিযোগ থাকলে তারা আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে।
জেলা যুগ্ম জজ আদালতের নায়েব নাজির গাফফার খান নাদিম জানান, কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর গ্রামের মাস্টার বাড়ির ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম গং বাদী হয়ে ২০০৪ সালে চাঁদপুর জেলা যুগ্ম জজ আদালতে একটি দেওয়ানি বণ্টন মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২২/২০০৪। দীর্ঘদিন মামলা চলে আসার পর ২০২১ সালের জুন মাসে বিজ্ঞ জেলা যুগ্ম জজ মামলাটির রায় ঘোষণা ও ডিক্রি জারি করেন। এতে বাদী ফাতেমা বেগম গং ১০ একর ৪৩ শতাংশ ৮০ পয়েন্ট সম্পত্তি ফিরে পান। আদালতের রায় অনুযায়ী আজকে আমরা ঘটনাস্থলে এসে ভূমি সার্ভে করে লাল নিশান টানিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছি। এছাড়া বাদীর প্রাপ্ত সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে এবং আদালতের রায় কার্যকর করতে ব্যবস্থা নিয়েছি। আদালতের রায় কার্যকর করতে স্থানীয় পুলিশ বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিরা আমাদেরকে সহযোগিতা করছে।
মৃত মোবারক হোসেনের স্ত্রী মামলার বাদী ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম জানান, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর যাবত আমরা আমাদের সম্পত্তি বুঝে পাইনি। আমার স্বামী এই সম্পত্তি বুঝে পাওয়ার জন্যে আদালত পাড়া ও বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। দেরিতে হলেও জেলা জজ আদালত ন্যায়বিচারের রায় দিয়েছেন। আদালতের রায়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পত্তি ফিরে পেয়েছি। আজকে আদালত লাল নিশান টানিয়ে আমাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিচ্ছে। আমরা আদালতের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকেও ধন্যবাদ জানাই।
মামলার বিবাদী হুমায়ুন কবির গং বলেন, অনেকদিন ধরে আদালতে মামলা চলেছে, আজকে আদালতের লোকজন ভূমি সার্ভে করে বাদীর সম্পত্তি বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ভূমি সার্ভে শেষ হলে আমরা বুঝতে পারবো আমাদের সম্পত্তি ঠিক আছে কি না। যদি ঠিক না থাকে তাহলে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।