প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ কার্যক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় কচুয়া উপজেলার পনশাহী গ্রামে সমলয় চাষাবাদ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে উপজেলা কৃষি অফিস। ৫০ একর জমিতে চারা রোপণ করার জন্য ট্রেতে বীজতলা করে চারা রোপণ করা হয়েছে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার-এর মাধ্যমে।
রোববার সকালে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান শিশির। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সোফায়েল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোতাছেম বিল্যাহ ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ড. সোলাইমান ও আশ্রাফপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রেজাউল মাওলা হেলাল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সোফায়েল হোসেন ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, আশ্রাফপুর ইউনিয়নের পনশাহী গ্রামে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সহায়তায় ধানের চারা রোপণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পনশাহী গ্রামের ১শ’ কৃষককে একত্রিত করে সমলয় পদ্ধতিতে ৫০ একর জমিতে রোরো ধান আবাদের উদ্যোগ নিয়েছি। ১ম পর্যায়ে কৃষকদের কোনো খরচ লাগছে না। ধান বীজসহ সকল খরচ সরকার বহন করছে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে কম খরচে জমিতে চারা রোপণ করা যায়। যেখানে ১ একর জমিতে ধানের চারা রোপণের দিনে ২০জন শ্রমিক প্রয়োজন হতো, সেখানে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের সময় লাগবে মাত্র ১ঘন্টা।
উল্লেখ্য যে, সরকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পটি ২০২০-২৫ সাল মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে। কৃষিকে লাভজনক ও বাণিজ্যিকীকরণে সরকার বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। প্রকল্প মেয়াদে আগামী পাঁচ বছরে ৫৭ হাজার কৃষিযন্ত্র কৃষকদের ভতুর্কি মূল্যে দেয়া হবে। হাওর এলাকায় ৭০ শতাংশ ভতুর্কিতে এবং হাওর ছাড়া অন্য এলাকায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভতুর্কিতে বিভিন্ন প্রকার কৃষিযন্ত্র ক্রয় করতে পারবে কৃষকেরা।