সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

সংবাদ সম্মেলনে তিন বিজয়ী প্রার্থীর অভিযোগ
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

ফরিদগঞ্জ উপজেলায় গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যে তিনজন প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তারা নিজেদের যোগ্যতায় জনগণের ভালবাসা অর্জন করার কারণেই বিজয়ী হয়েছেন। এই বিজয়ে আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের কমিটি এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমানের কোনো ভূমিকা ছিল না। বরং প্রকাশ্যে হুমকি, বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রকাশ্যে সহযোগিতা করেছেন। এমন দাবি করে ১৯ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নবনির্বাচিত তিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভূঁইয়া। এ সময় রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরীফ হোসেন খান ও অসুস্থতার কারণে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মিরাজ। এছাড়া পৌরসভার এমপি প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর পালোয়ান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজয়ী প্রার্থীরা বলেন, ফরিদগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ নেতা খাজে আহমেদ মজুমদারের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা ১৩জন প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করি। কিন্তু নির্বাচনের মাঠে আমরা সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান এবং আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের কমিটি কর্তৃক নানা প্রতিকুলতার সম্মুখীন হই। তারা সহযোগিতার পরিবর্তে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের নানা হুমকি-ধমকি, প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছেন। আমরা আওয়ামী লীগ মনোনীত তিনজন প্রার্থী বিগত দিনে মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি ও জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা খাজে আহমেদ মজুমদারের সার্বিক সহযোগিতার ফলে বিজয়ী হতে পেরেছি।

তারা বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ওই সংবাদে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম নোমান দাবি করেছেন ‘যে তিনজন জয়লাভ করেছেন তাদের বিজয়ের পেছনে আমার ও দলের ভূমিকা ছিল। তারা আমাদের সাথে নির্বাচন নিয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করেছে’। জাহিদুল ইসলাম রোমানের এই দাবি অসত্য, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও মনগড়া। আমরা যাতে নির্বাচিত না হই এই লক্ষ্যে তারা প্রতিনিয়ত নানা পরিকল্পনা ও কূটচাল করেছেন। তার অংশ হিসেবে সকল ইউনিয়নে তাদের প্রতিনিধি ও কর্মীকে একদিকে আমাদের বিরুদ্ধে খাটিয়েছেন, অন্যদিকে তাদের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে কাজে লাগিয়েছেন। আমাদের পরাজয়ের লক্ষ্যে তাদের প্রতিনিধি ও কর্মীরা বিরামহীনভাবে পরিকল্পনা ও কাজ করে গেছেন।

তারা আরো বলেন, রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নে রোমানের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কাদের খোকন এবং ওয়াহিদুর রহমানের পক্ষে তার ছোটভাই সাইফুল ইসলাম রিপনের নেতৃত্বে চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ থেকে কর্মী ও ভাড়াটে বাহিনী নিয়ে এলাকায় উপস্থিত হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা- এবং তা-ব করেছে। তিনি নিজে প্রার্থী শরীফ খানকে বলেছেন, ‘তুই কিভাবে নির্বাচিত হছ আমি দেখবো। তুই নির্বাচিত হলে আমি উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবো’। শুধু তাই নয়, তার পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তছলিম, তার ইউনিয়ন প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সবুজ পাটওয়ারী, তার বাবা কৃষকলীগের সভাপতি আবদুস ছাত্তার পাটওয়ারী, শরীফ পাটওয়ারী, তার একনিষ্ঠ কর্মী ইউসুফ মিজিসহ সকলেই নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ও সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। শুধু তাই নয়, ‘রোমান ভাইয়ের আনারস’ মিছিল হয়েছে এবং ঐ ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে।

তারা বলেন, চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের চশমা প্রতীকের প্রার্থী নুরুন্নবী জমাদারকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। তার আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকা কর্মী বাহিনী ও দলীয় নেতা-কর্মীরা নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে ও নুরুন্নবী জমাদারের চশমা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছে। গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী (চশমা) এবং এমরান হোসেন ভূঁইয়া (আনারস)কে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। এই প্রার্থীর পক্ষে তার প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, নুরে আলম রনি, মোস্তাফিজুর রহমান, কাইয়ুম, জহিরুল ইসলাম খান, মুরাদ ভূঁইয়া, সোহাগ ভূঁইয়া, স্বপন ভূঁইয়া, শামিম, রিপন, তৌফিক ভূঁইয়াগং বিরামহীনভাবে কাজ করেছে। অতএব, জাহিদুল ইসলাম রোমানের অসত্য ও বানোয়াট দাবি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের জয়লাভের পেছনে তার বিন্দুমাত্র সহযোগিতা নেই, বরং বিরোধিতা ছিল। তদন্ত করলে আমাদের বক্তব্যের প্রমাণ মিলবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়