প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
হাজীগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ!
হাজীগঞ্জের ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজীর বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ফারুক হোসেন (৩৩) নামের ঐ শিক্ষক হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান মারধরের অভিযোগটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট উল্লেখ করে বলেন, ঐ শিক্ষক শুক্রবার দুপুরে রামচন্দ্রপুর বাজারের একটি দোকানে আওয়ামী লীগকে প্রকাশ্যে গালমন্দ করায় আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে কারণ জিজ্ঞাসা করেছে।
|আরো খবর
রামচন্দ্রপুর ভূঁইয়া একাডেমির মানবিক বিভাগের এই শিক্ষক স্থানীয় নাটেহরা গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জানান, আমি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০১৯ সালের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদের নির্বাচনে যুবদল নেতা বর্তমান ইউপি সদস্য জহির মোল্লার পক্ষে নির্বাচন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী। অথচ তিনি (চেয়ারম্যান) নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অপর দিকে ঐ নির্বাচনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহানের নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক পদে দায়িত্ব পালন করি আমি নিজে।
ফারুক হোসেন আরো বলেন, ঐ নির্বাচনের পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। শুক্রবার সকালে রামচন্দ্রপুর বাজারে চেয়ারম্যানের সাথে দেখা হলে পূর্বের ঘটনার জেরে তিনি হঠাৎ করে আমার শার্টের কলার ধরে জনসম্মুখে মারধর করেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ সময় আমাকে জড়িয়ে ধরে রেখে তাকে সহযোগিতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা এমরান হোসেন খন্দকার। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন এবং কর্মরত চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি দেন। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান শিক্ষক ফারুক হোসেন।
এদিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী বলেন, আওয়ামী লীগের কমিটিতে ফারুক হোসেনকে পদ না দেয়ায় সে আওয়ামী লীগ নাম তুলে গালমন্দ করে। তাই নেতা-কর্মীরা এর প্রতিবাদ জানালে তার সাথে বাক-বিত-া হয়। এখানে বাজারে শত শত লোক রয়েছে, তাকে কোনো ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফারুক যুবলীগের সাথে জড়িত। এজন্য তাকে আওয়ামী লীগের কমিটিতে রাখা হয়নি। যেহেতু আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, তাই সে আমার এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ করে। এছাড়াও নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালায়।