শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫১

কবরস্থানে হাত-পা বাঁধা তরুণ উদ্ধার: রহস্যের জাল ছড়াচ্ছে

কবরস্থানের ভয়াবহ রহস্য!

মো. জাকির হোসেন
কবরস্থানের ভয়াবহ রহস্য!
উদ্ধারের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণ। সংগৃহীত ছবি

চুয়াডাঙ্গা শহরের জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান থেকে এক রহস্যময় ঘটনায় হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় অচেতন এক তরুণকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। তরুণের নাম শরিফুল ইসলাম (২১), যিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

ঘটনার বর্ণনা: পুলিশ জানায়, কবরস্থানের ভেতরের একটি বাগানে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকা শরিফুলকে উদ্ধার করা হয়। তার পিঠমোড়া দিয়ে হাত বাঁধা, মুখ এবং পা বাঁধা ছিল। সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেহবুবা মুস্তারিন জানান, শরিফুলের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই এবং তার অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত।

তরুণের পরিচয়: তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম কক্সবাজারের ভিলিজারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা ফজল করিম এবং মা হোসনে আরা বেগম। শরিফুলের সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগে সেনাবাহিনীর পোশাক এবং ব্যাচ পাওয়া গেছে। তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শরিফুল তাদের কোনো ইউনিটের সদস্য নন।

পরিবারের বক্তব্য:

শরিফুলের বড় ভাই আবু তালেব জানিয়েছেন, শরিফুল সম্প্রতি সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন এবং প্রশিক্ষণের জন্য টাকাও নেন। তবে কেন এবং কীভাবে তিনি চুয়াডাঙ্গায় এলেন, সে বিষয়ে পরিবারের কারো কোনো ধারণা নেই।

রহস্য ঘনীভূত: পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জ্ঞান ফিরে এলে তার চুয়াডাঙ্গায় আসা এবং অচেতন অবস্থায় কবরস্থানে পাওয়া যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। এটি কোনো পরিকল্পিত অপহরণ নাকি অন্য কোনো অপরাধমূলক ঘটনার অংশ, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া: স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাটি নিয়ে আতঙ্কিত। তারা বলছেন, কবরস্থানের ভেতর এমন ঘটনায় তারা এর আগে কখনোই পড়েননি। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিশেষজ্ঞ মতামত: ক্রাইম বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি প্রতারণা বা অপরাধমূলক চক্রের কোনো কৌশল হতে পারে। কবরস্থানে মরদেহ নয়, বরং জীবিত কাউকে রেখে যাওয়ার পেছনে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

পুলিশ এ ঘটনায় দায়ের হওয়া কোনো লিখিত অভিযোগ বা প্রমাণের ভিত্তিতে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আশাবাদী, দ্রুত এই ঘটনার মূল রহস্য উন্মোচন হবে।

আপডেট: নতুন তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেদনটি সংশোধন করা হবে।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়