প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
বড় স্টেশনে ভয়াবহ ভাঙ্গনের ২০ বছর পূর্তি আজ
চাঁদপুর বড় স্টেশনে স্মরণাতীত কালের ভয়াবহ ভাঙ্গনের আজ ২০ বছর পূর্তি। ২০০১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার সূর্যোদয়ের প্রাক্কালে ভয়াল ভাঙ্গন বিপর্যয় শুরু হয়, যা চলে টানা ২১ ঘন্টা। এতে রেল স্টেশন, বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ টার্মিনাল ভবনের পশ্চিমাংশ, পন্টুনমুখী গ্যাংওয়ে, রেলওয়ের ওভার ব্রিজ, রেল লাইন, স্টিমার ঘাট, এ ঘাটের সম্মুখস্থ ১২টি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও স্টেশনারী দোকান, ট্রান্সফর্মারসহ ৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি, ১টি বরফ কল, ১০০টি মাছের আড়ত, হাজার হাজার কংক্রিট ব্লক ও ৬টি বড় গাছ বিলীন হয়ে যায়।
|আরো খবর
এর ফলে বর্তমান মোলহেডের পূর্বাংশে অর্থাৎ নদী গর্ভে বিলীন হওয়া স্টেশন প্ল্যাটফর্মের সামনে বিশাল পুকুরের ন্যায় অবস্থা তৈরি হয়। পরদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুজন উপদেষ্টা, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের জিওসি, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও রেলওয়ের শীর্ষস্থানীয় সকল কর্মকর্তাসহ অসংখ্য কর্মকর্তা পরিদর্শনে আসেন। পরে ড্রেজিং করে বালি দিয়ে বিশাল পুকুরের ন্যায় স্থানটি ভরাট করা হয এবং শহর রক্ষা বাঁধের বেষ্টনী দিয়ে বড় স্টেশনের বিলীন হয়ে যাওয়া মূল স্থাপনার স্থলসহ পশ্চিমাংশকে মোলহেডে পরিণত করা হয়। আজ সেটি কালক্রমে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার অর্থায়নে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘রক্তধারা’ ও ইলিশ ভাস্কর্যসহ নানা স্থাপনায় আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বর্তমান মোলহেডের স্থানটি ১৯৭১ সালে বধ্যভূমি ছিলো বলে এখানে ‘রক্তধারা’ নির্মাণ করা হয়, যার ফলে এ স্থানটি আবেগজড়িত ও স্মৃতিকাতর পবিত্র স্থানে পরিণত হয়েছে। এ স্থানটি রক্ষার সামগ্রিক কাজে রেল কর্তৃপক্ষ কখনো কোনো বাধা না দিলেও এবং কোনা অবদান না রাখলেও বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রচেষ্টায় সংরক্ষিত স্থানে (মোলহেডে) তথা প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্রে অহেতুক স্টেশন প্লাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ করতে চাচ্ছে। অথচ কয়েকশ’ গজ পূর্বদিকে স্টেশন প্লাটফর্ম নির্মাণ কাজ বহু আগেই সম্পন্ন করেছে। ঝুঁকিপর্ণ মোলহেডে রেল কর্তৃপক্ষের এমন ইচ্ছাকে পর্যবেক্ষক মহল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মানসিকতা, শ্যেন দৃষ্টি ও খবরদারিমূলক পদক্ষেপের সমতুল্য মনে করছেন, যাতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।