প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
সরকারি খাল ভরাটের পরিণতি
বৃষ্টির পানির চাপে বাড়িঘর ভেঙ্গে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নিজ গাছতলা গ্রামে বৃষ্টির পানির চাপে বাড়িঘর ভেঙ্গে ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জানা যায়, গত দু দিনের বৃষ্টির পানি জমে তা নামতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি বৃদ্ধি পেয়ে বসতবাড়ির উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ে। এতে করে পানির চাপে বিল্ডিং, বাউন্ডারি দেওয়াল ও রাস্তা ভেঙ্গে যায়। এতে তাদের ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো হচ্ছে : টেলু গাজী, শাহআলম গাজী, দেলু গাজী, হারুনুর রশিদ, হাফেজ আমান উল্লাহ খান, সাইফুল ইসলাম রনি ও আনোয়ার হোসেন খান।
গতকাল দুপুরে সরজমিনে গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, নিজ গাছতলা গ্রামের সুলতান গাজী ও শফিক গাজীর বাড়ির নিকটে সরকারি খাল ছিলো। সেই খাল ভরাট করা হয়েছে বাড়ি করার জন্যে। এ খাল দিয়ে চৌরাস্তার পর হতে ময়দান খোলাসহ এলাকার পানি নামতো। বর্তমানে কোনো পানি নামতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে প্রায় ২৫০ টি পরিবার জলাবদ্ধতায় কবলিত হয়। জলাবদ্ধতার পানি উপরে উঠে গড়িয়ে পড়ে বিল্ডিং, বাউন্ডারি দেওয়াল, বসতঘর ও রাস্তা পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায় এবং তাদের বড়ো ধরনের ক্ষতি হয়। যে ক্ষতির পরিমাণ ২০ লাখ টাকা বলে জানা যায়।
একটি সূত্র জানায়, জমি বিক্রেতারা তাদের নিজের জায়গার সাথে সরকারি খাল ভরাট করে বিক্রি করে ফেলেছে। সরকারি খাল ভরাট করা না হলে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না। কিন্তু দিন দিন বসতবাড়ি গড়ে উঠছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা না হলে চাঁদপুর- ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কে এর প্রভাব পড়তে পারে।
এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন খান, ডিএম হাবিব খান বলেন, গত দুদিনের বৃষ্টির পানি নামতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ির ওপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ে রাস্তা, বসতঘর ও বাউন্ডারি দেওয়াল ভেঙ্গে বড়ো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব পরিবার জায়গা ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করে। আবার কেউ বাউন্ডারি দেওয়াল দিয়ে রেখেছে। কেউ বালি দিয়ে ভরাট করেছে। তাদের এসবের বড়ো ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জাকির হোসেন খান বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনার স্থানে গিয়েছি। এখানে বড়ো ধরনের ক্ষতি হয়েছে। বসতঘর, রাস্তাসহ অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করবো।