প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটিতে রাশেদা বেগম হীরা
চাঁদপুরের কৃতী সন্তান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত দুবারের সাবেক মহিলা এমপি, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলহাজ্ব রাশেদা বেগম হীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে আহ্বায়ক এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডাঃ মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরা, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডঃ নেওয়াজ হালিমা আরলী, গণশিক্ষা বিষয়ক সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।
এ ব্যাপারে রাশেদা বেগম হীরা বলেন, দীর্ঘদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বিএনপির ১০ সদস্য বিশিষ্ট নিজস্ব প্রশিক্ষণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন পেলো। আমি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদিকা হিসেবে শোকরিয়া জানাচ্ছি মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি, আর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি। তাঁরা আমাদের প্রতি আস্থা রেখে প্রশিক্ষণের জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন করেছেন। আমি কমিটির সকল সদস্যকে আভিনন্দন জানাচ্ছি এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সকল কার্যক্রমের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।
আলহাজ্ব রাশেদা বেগম হীরার পৈত্রিক বাড়ি চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের আলগী গ্রামে। তিনি ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ও ১৯৯০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন ১৯৭৯ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামসুন্নাহার হলের ভিপি ও জিএস পদে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ছাত্রনেত্রী হিসেবে তিনি ১৯৮১ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে রাষ্ট্রীয় সফরে নেপাল ভ্রমণ করেন এবং ট্যালেন্ট স্টুডেন্ট হিসেবে তিনি হিজবুল বাহার সফর ও বঙ্গবভনে আমন্ত্রিত হন। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় যেমন অক্সফাম, সেভ দি চিলড্রেন, ভিএসওতে জেন্ডার বিশেষজ্ঞ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন, পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ এ যাবৎ দলের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তিনি একজন লড়াকু সৈনিক। তিনি ৮ম ও ৯ম জাতীয় সংসদে জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়নে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চাঁদপুর জেলা শাখার সভানেত্রী ছিলেন।
ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগের আমলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র কালো পতাকা কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা পল্টন এলাকা থেকে সাবেক এমপি আলহাজ্ব রাশেদা বেগম হীরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে পুলিশের কাজে বাধা সংক্রান্ত মামলায় আসামী দেখানো হয়। উক্ত মামলায় ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন জানালে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে (১৩ মার্চ) হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানালে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তার জামিন মঞ্জুর করেন। হাইকোর্টের একটি যৌথ বেঞ্চ তাঁকে জামিন প্রদান করেন। এ মামলার হাইকোর্টে আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন হাইকোর্টের প্রয়াত অ্যাডঃ সানাউল্যাহ, হাইকোর্টের বিশিষ্ট সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডঃ আমিনুল ইসলাম, অ্যাডঃ সুফিয়া আক্তার হেলেনসহ অনেকেই। এছাড়া এ মামলায় সার্বিক সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস। তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম মজুমদার।