মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫  |   ৩৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের যত অনিয়ম-১

গ্রন্থাগারিক তানিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবেন না অধ্যক্ষ!

এখনো বাড়িতে হাজিরা খাতা পাঠিয়ে স্বাক্ষর আনা হয়

শামীম হাসান ॥
গ্রন্থাগারিক তানিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবেন না অধ্যক্ষ!

ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজের গ্রন্থাগারিক তানিয়া খাতুনের অনিয়মের বিরুদ্ধে অদ্যাবধি শাস্তিমূলক কোনো পদক্ষেপ নেননি অধ্যক্ষ। ১ অক্টোবর মঙ্গলবারও তানিয়া খাতুন কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে অধ্যক্ষ নেপাল চন্দ্র দেবনাথ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জানা গেছে, কলেজের গ্রন্থাগারিক তানিয়া খাতুন ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য পদচ্যুত পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর স্ত্রী। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ৭/৮ বছর কলেজে না এসেও বেতন-ভাতা নিয়েছেন নিয়মিত। কলেজ অধ্যক্ষগণ (সাবেক ও বর্তমান অধ্যক্ষ) তার বাড়িতে হাজিরা খাতা পাঠিয়ে একসাথে একাধিক মাসের বকেয়া স্বাক্ষর সংগ্রহ করে আনতেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরও দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি অধ্যক্ষ নেপাল চন্দ্র দেবনাথ। সরকার পতনের পর গ্রন্থাগারিক তানিয়া খাতুন যথারীতি কলেজে অনুপস্থিত থাকলেও পূর্বের ন্যায় হাজিরা খাতা বাড়িতে পাঠিয়ে আগস্ট মাসের বকেয়া স্বাক্ষর আদায় এবং বিল করে দেন অধ্যক্ষ।

সাংবাদিকরা এ বিষয় জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন অধ্যক্ষ। কিন্তু তানিয়ার অনিয়ম ঢাকতে চাকুরি বিধিমালা নিয়ে মিথ্যাচার করে তিনি বলেন, তানিয়া পিআরএল-এ আছেন। তিনি কলেজে আসুক কিংবা না আসুক, হাজিরায় স্বাক্ষর করুক কিংবা না করুক তাতে কোনো সমস্যা নেই। একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের পিআরএল কীভাবে হয়? এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব তিনি দেননি।

গত ২২ সেপ্টেম্বর তানিয়া খাতুনের অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ২৩ সেপ্টেম্বর কলেজে আসেন তানিয়া। তারপর থেকে পুনরায় কলেজে অনুপস্থিত।

১ অক্টোবর মঙ্গলবারও কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান অধ্যক্ষ নেপাল চন্দ্র দেবনাথ। তানিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে বিধি অনুসারে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ। বাড়িতে হাজিরা খাতা পাঠিয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ, বেতন বিলে স্বাক্ষরসহ অনিয়মে সহযোগিতার দায় এড়াতে পারেন কিনা? তানিয়া খাতুনের পিআরএল নিয়ে মিথ্যাচার করে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করার কারণ কি? এ সকল প্রশ্নের জবাবেও অধ্যক্ষ কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশি কুমিল্লা কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক সোমেশ কর চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে কেবলই জানতে পারলাম। আপনারা যাবতীয় তথ্য, উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করলে অবশ্যই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সচেতন মহলের প্রশ্ন, এতো বড় অনিয়ম কোন্ স্বার্থের কারণে অধ্যক্ষ নেপাল চন্দ্র দেবনাথ করে যাচ্ছেন? তিনি কি তাহলে সাবেক মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা নিতেন? গ্রন্থাগারিক তানিয়াও কি ঘরে বসে বসে বেতন নেয়ার সুবাদে অধ্যক্ষকে কি কোনো সুবিধা দিতেন?

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়