প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৫, ১৭:২৯
নৌ পুলিশের অভিযানে ১৬ জেলে আটক
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রমে থেমে নেই মাছ শিকার

পদ্মা-মেঘনা নদীতে জাটকা সংরক্ষণের লক্ষ্যে দু মাস সব ধরনের মাছ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা (অভয়াশ্রম) থাকলেও বসে নেই এক শ্রেণীর জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিন অসংখ্য জেলে জাল ও নৌকা নিয়ে নদীতে যাচ্ছে এবং জাটকাসহ ছোট-বড় ইলিশ ও নদীর অন্যান্য মাছ শিকার করছেন। এতে ইলিশের প্রজনন ও বংশবিস্তার ব্যাহত হচ্ছে।
রমজান মাস হওয়ায় প্রশাসনিক ঢিলেঢালা তৎপরতায় চাঁদপুর সদর, মতলব উত্তর, হাইমচর উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা শরীয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার অনেক জায়গায় পদ্মা, মেঘনা নদীতে তেমন একটা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না। এই সুযোগে বহু জেলে ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তারপরও নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড বসে নেই। সরকারি এ দুটি সংস্থা প্রতিদিনই নদীতে টহল অব্যাহত রেখেছে। তাদের অভিযানে জাল, নৌকা, মাছ জব্দসহ জেলেরাও গ্রেফতার হচ্ছেন।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ শিকার করায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ ২০২৫) তারিখে আরো ১৬ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি বেহুন্দি জাল, ৬টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১৩০ কেজি জাটকা মাছ জব্দ করা হয়।
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএমএস ইকবাল।
নৌ পুলিশের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় চাঁদপুর নৌ থানা এলাকায় পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় যাত্রাবাহী লঞ্চ এমভি জামাল-৮ থেকে ১২টি চায়না চাঁই জব্দ করা হয়। এছাড়া ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদপুর মোলহেড সংলগ্ন এলাকা, লগিমারা-চর রাজরাজেশ্বর, আমিরাবাদ লাল বয়া ও বহরিয়া এলাকা থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরার অপরাধে ১৬ জনকে আটক করা হয়।
আটক ১৬ জেলের মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মৎস্য আইনে ৬টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি ৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে জব্দকৃত কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস, জাটকা মাছ স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। বেহুন্দি জাল, নৌকা ও চায়না চাঁই থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএমএস ইকবাল বলেন, বিশেষ অভিযানের ফলে ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যায়। চাঁদপুর নৌ থানা জনগণের সহযোগিতায় মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে সবসময় কাজ অব্যাহত রাখবে।