প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
কাজের মেয়াদ বাড়লো ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়কে কষ্টের শেষ নেই
বহুল আলোচিত ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়ক এখনো আলোর মুখ দেখেনি। সর্বশেষ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কাজের মেয়াদ শেষ হলেও শেষ হয়নি কাজ। এতে রাস্তা ব্যবহারকারীর দুর্ভোগ বেড়েছে। যেটুকু কাজ হয়েছে তাও নষ্ট হওয়ার পথে।
|আরো খবর
মেঘনা পাড়ের ঐতিহ্যবাহী রূপসা জমিদার পরিবারের গড়া এই সড়কটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়কটি শুধুমাত্র রূপসা বাজারই নয়, উপজেলার পূর্বাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের সংক্ষিপ্ত রাস্তাও বটে। বিশেষ করে উপজেলার পূর্বাঞ্চল রূপসা, খাজুরিয়া, লাউতলী, রুস্তমপুর, পাইকপাড়া, আমিরা বাজার, আষ্টা, গুপ্টি, গল্লাক ও সুবিদপুর এলাকার হাজার হাজার মানুষকে প্রতিনিয়ত উপজেলা সদর, পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় যাতায়াতের জন্যে ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়ক ব্যবহার করতে হয়। কম সময়ে পাত্ররশ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে যাওয়ার জন্যে অনেকেই এই সড়কটি ব্যবহার করতো। কিন্তু কোনো এক রহস্যজনক কারণে দীর্ঘ ৩/৪ বছর ধরে এটি সংস্কারের কাজ শুরু হলেও এখনো শেষ হচ্ছে না। টেন্ডার-বাতিল আবার পুনঃটেন্ডারের মধ্যেই চলে গেছে প্রায় দেড় বছর। কেনো এমন জটিলতা সাধারণের কাছে তা এক রহস্য।
ফরিদগঞ্জ-রূপসা জিসি সড়কের ৮ কোটি ৬৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকার সর্বশেষ কাজটি মেসার্স শহীদ এন্ড ব্রাদার্স পায়। টেন্ডার প্রক্রিয়ার জটিলতা কাটিয়ে উঠলেও কাজ চলছে একেবারে শম্বুক গতিতে। এতে মানুষের ভোগান্তিও বাড়ছে। সর্বশেষ টেন্ডারের পর কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল। কিন্তু এক বছরের অধিক সময় পার হলেও এখনো রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। এ রকম নজির বাংলাদেশের আর কোথাও আছে কিনা এ রাস্তা ব্যবহারকারীদের জানা নেই। কেন কাজের এতো ধীরগতি, কবেইবা কাজ শেষ হবে, কেউ বলতে পারবে না। বর্তমান কাজের মেয়াদ গত ১১আগস্ট শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সড়কের বেহাল দশার কারণে সাধারণ রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। মূল কাজ শুরু হলেও দীর্ঘ সময় অতিক্রমের পরেও কাজ শেষ না হওয়াতে মানুষের কষ্টের শেষ নেই। সড়কটির এ দুরবস্থা বিরাজ করলেও এলাকার জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রচেষ্টা নেই জনপ্রতিনিধিদের। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের আগস্ট মাসের ১১ তারিখে কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করাতে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী বছরের (২০২২) ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী এএসএম রাশেদুর রহমান জানান, কাজের ধীর গতির জন্য ঠিকাদারকে একাধিক নোটিস করা হয়েছে। কাজের মেয়াদ শেষ হলেও ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আমির আজম রেজা এ প্রতিনিধিকে বলেন, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টি থাকে। এ সময় যদি কার্পেটিং করি তাহলে তা থাকবে না। বৃষ্টির সিজন গেলে আমরা কার্পেটিং করবো। তবে সিংহভাগ কাজ শেষ। কাজ সুন্দরের জন্য আমি এক লাখ টাকার বাড়তি ইট লাগিয়েছি। আশা করি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে কার্পেটিং-এর কাজ শুরু করবো।