সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

হাজীগঞ্জে বৃষ্টির জমা পানিতে সাকার ফিশ!

কামরুজ্জামান টুটুল ॥
হাজীগঞ্জে বৃষ্টির জমা পানিতে সাকার ফিশ!

হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় স্বর্ণকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বৃষ্টির জমা পানিতে সাকার ফিশের সন্ধান মিলেছে। যার ওজন প্রায় আধা কেজি (৫০০ গ্রাম)।

স্থানীয় জহির হোসেন নামের এক যুবক প্রথম এটি দেখতে পান। এতে অবাক হয়ে যান স্থানীয়রা। পরে এটি মাটি চাপা দিয়ে দেন স্থানীয়রা।

জহির জানান, শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে তিনি হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির সামনে স্কুল মাঠে যান। এ সময় তিনি স্কুল মাঠে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে একাধিকার কিছু একটা নড়াচড়া করতে দেখেন। এ সময় তিনি শোল মাছ ভেবে সাকার ফিশটি ধরেন এটি মাছ না অন্য কিছু তা তিনি বুঝতে পারেননি। যেহেতু তিনি হাত দিয়ে মাছটি ধরেছেন, তাই ভয় পেয়েছেন। পরে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর মাধ্যমে এটি ‘সাকার ফিশ’ বলে জানতে পারলে তার ভয় কেটে যায়।

এদিকে নাম না জানা মাছটি ধরা পড়ার খবর পেয়ে এলাকার নারী ও শিশুসহ উৎসুক লোকজন ভিড় জমায়। এ সময় এক সংবাদকর্মীর মাধ্যমে সাকার ফিশের ক্ষতিকর বিষয়টি জানার পর অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, মাছটি স্কুল মাঠের পানিতে কিভাবে এলো?

ধারণ করা হচ্ছে, স্কুলের পাশেই দুটি বড় পুকুর রয়েছে এবং পুকুরে পোনা মাছ ছাড়ার সময় ওই পোনা মাছের সাথে সাকার ফিশের পোনাটিও এসেছে। পরে এটি বড় হয়ে যায় এবং পানি নিষ্কাশনের পাইপ দিয়ে স্কুল মাঠের জমে থাকা হাঁটু পানিতে চলে আসে।

উল্লেখ্য, সাকার ফিশের পুরো নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ। বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস। অ্যাকুরিয়ামে শোভাবর্ধনকারী হিসেবে রাখা হয় বিদেশি প্রজাতির এ মাছটিকে। মাছটি বুড়িগঙ্গা নদীতে ব্যাপক হারে দেখা যায় এবং বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ডোবা-নালাসহ বিভিন্ন জলাশয়ে হরহামেশাই দেখা মিলছে মাছটির।

দ্রুত বংশ বিস্তারকারী মাছটি জলজ পোকামাকড় ও শ্যাওলার পাশাপাশি ছোট মাছ এবং মাছের পোনা খেয়ে থাকে। তাছাড়া সাকার ফিশের পাখনা খুব ধারালো। ধারালো পাখনার আঘাতে সহজেই অন্য মাছের দেহে ক্ষত তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে পচন ধরে সেগুলো মারা যায়।

সাকার ফিশ রাক্ষুসে প্রজাতির না হলেও প্রচুর পরিমাণে খাবার খায়। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্গে খাদ্যের জোগান নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। এতে টিকে থাকতে না পেরে বিলুপ্তির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছের। সরকারিভাবে এ মাছটি চাষ কিংবা অ্যাকুরিয়ামে পালন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়