সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ॥ পুলিশশূন্য থানা ভবন

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥
ফরিদগঞ্জে হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ॥ পুলিশশূন্য থানা ভবন

ফরিদগঞ্জ উপজেলা এখনও অরক্ষিত রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর বিভিন্ন বাসা বাড়িতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যকে থানায় দেখা যায়নি। তবে সোমবার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর একটি টহল গাড়ি এসে থানার অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্রগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অফিস আদালত খোলা থাকার নির্দেশনা থাকলেও কোনো কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসে দেখা যায়নি।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) উপজেলা সদরের বিভিন্ন অফিস পাড়া ও মফস্বল এলাকা ঘুরে দেয়া যায় এমন চিত্র। সোমবার (৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের বিরামপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। ওই রাতেই গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের সাবেক ন্যাপ নেতা জ্ঞানরঞ্জন দাসের ছেলে গল্লাক আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাসের বাড়িতে লুটপাট, ভাঙচুর ও আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী, সাবেক মেয়র মাহফুজুল হক, প্যানেল মেয়র আঃ মান্নান পরানের বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড ও লুটপাট করা হয়েছে। সমিল মালিক সমিতির সভাপতি নাছির উদ্দিনের বাড়িতে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের আছৎকুয়ারি গ্রামে ডা. কমল নামে এক চিকিৎসকের বাড়িতে ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এছাড়া গুপ্টি বাজার, খাজুরিয়া বাজার, রূপসা বাজার, গৃদকালিন্দিয়া বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন এলাকাতে হামলা ভাংচুরের ঘটনায় উপজেলাটি এক অরক্ষিত জনপদে পরিণত হয়েছে।

এদিকে দুর্বৃত্তরা পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী ওনুআ চত্বরের ওনুআ ভাস্কর্যটি ভেঙ্গে ফেলেছে। এছাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ বক্স ভেঙ্গে ফেলা হয়। ফরিদগঞ্জ থানায় হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার পর থানা এলাকা পুলিশ শূন্য হয়ে পড়ে। সোমবার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম থানার অস্ত্রসমূহ নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে যায়।

মুঠোফোনে গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাস জানান, সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যার পর একদল দুর্বৃত্ত তাদের বাড়িতে হামলা করে। এসময় তারা বাড়ির ৪/৫টি বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় তারা নগদ ৩ লক্ষাধিক টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যায়। এছাড়া বেশ কিছু আসবাবপত্র ও মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাঙচুর ও লুটপাটে সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) থেকে সকল অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও ফরিদগঞ্জে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে থানা পুলিশ চাঁদপুর পুলিশ লাইনে অবস্থান করেছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌলি মন্ডল বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে আমি বাসভবনে অবস্থান করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়