১৩ দিন পর গুলিবিদ্ধ রবিউলের সন্ধান পেলো বাবা বিল্লাল হোসেন

কোটা আন্দোলনের সময় ঢাকার নাখালপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ ফরিদগঞ্জের শিশু রবিউল হোসেন (১৩) অবশেষে তার পরিবারের খোঁজ পেয়েছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ১৩দিন পর ছেলের খোঁজে দিশেহারা বাবা বিল্লাল হোসেন ছেলের সন্ধান পেয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩ নম্বর বেডে গুলিবিদ্ধ ক্ষত পা নিয়ে চিকিৎসাধীন রবিউল বর্তমানে তার বাবা বিল্লাল হোসেনের সাথেই রয়েছেন।

৩ আগস্ট শনিবার মুঠোফোনে বিল্লাল হোসেন জানান, তার বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের বালিথুবা গ্রামে। রবিউল তার ২ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে ২য়। গত তিন বছর ধরে সে ঢাকার তেজগাঁও নাখালপাড়া এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী চাচা হেলালের সাথে থাকে। গত ১৯ জুলাইয়ের পর থেকে তিনি ও তার ভাই হেলালসহ কেউ রবিউলের খোঁজ পাননি। দিশেহারা হয়ে এতোদিন খোঁজার পর গত দু’দিন পূর্বে সন্ধান পান। এখন তিনি ছেলের সাথেই রয়েছেন। রাজমিস্ত্রীর কাজ করে সংসার চালানো বিল্লাল হোসেন বর্তমানে অর্থাভাবে রয়েছেন বলে জানান। ছেলেকে খুঁেজ পেয়ে তিনি আনন্দিত।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আনসারের সহকারী কমান্ডার শফিকুল ইসলাম জানান, ১৯ জুলাই শুক্রবার রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও এলাকার নাখালপাড়া রেললাইনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বাসা থেকে বের হলে রেললাইনে গুলিবিদ্ধ হয় রবিউল হোসেন। পরে স্থানীয়রা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেই থেকে হাসপাতালের ২০৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩ নম্বর বেডে গুলিবিদ্ধ ক্ষত পা নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলো সে। ইন্টারনেট সচল হওয়ার পর গত ২৮ জুলাই তিনি রবিউলের সাথে কথা বলে ফরিদগঞ্জ থানার ওসির সাথে কথা বলেন এবং রবিউলের তথ্য প্রদান করেন। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ খোঁজ নিয়ে রবিউলের পরিবারের সন্ধান পায় এবং রবিউল বর্তমানে তার বাবার সান্নিধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর আগে গত ১৩ দিন তার পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানতো না পরিবারের কেউ।