প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
এ কেমন শত্রুতা!
রাজরাজেশ্বরে তিনটি গরু পুড়ে মারা গেছে ॥ দগ্ধ ৬টি
চোখের সামনে জীবন্ত গরু ও হাঁস মুরগি পুড়ে মারা গেছে। ডাক চিৎকার, নদীর পানি দিয়ে রক্ষার পূর্বেই এসব প্রাণী পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। আরো পুড়ে গেছে পুরো গোয়াল ঘর ও হাঁস মুরগিসহ ঘরটি। আগুনের লেলিহান শিখার কারণে অসহায়ের মত ছিলেন বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র কৃষক শরবত আলী প্রধানিয়া। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার মধ্যরাতে চাঁদপুর সদর উপজেলার নদী বেষ্টিত রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মুগাদী গ্রামের মাঝি কান্দির শরবত আলী প্রধানিয়ার গোয়ালঘরে। আগুনে জীবন্ত তিনটি গরু পুড়ে মারা যায় এবং আরো ছয়টি গরুর শরীরের অনেকাংশ পুড়ে যায়। পূর্ব শত্রুতাবশত কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি তার। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গেলে বাড়িতে গরুর শোকে ওই কৃষক পরিবারে কান্নার রোল দেখা যায়।
জানা যায়, কৃষক শরবত আলী মধ্যরাতে গরুর ডাক শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে গোয়াল ঘরে আগুন দেখতে পান। তার ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ততক্ষণে ৩টি গরু এবং গোয়াল ঘর পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত শরবত আলী প্রধানিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, রাতে আমাদের গোয়াল ঘরে হঠাৎ আগুন লাগে। এতে আমাদের তিনটি গরু মরে যায় ও আরো ছয়টি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখন মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়াও অনেক মুরগি আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘ভাবছিলাম এই গরুগুলো বিক্রি করে দুটি মেয়ের বিয়ে দেব। গরুগুলোকে মেরে ফেলায় মেয়েগুলোকে কী খরচ করে বিয়া দিব’ ?
খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সান্ত¡না দেন এবং নিজস্ব তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এছাড়াও ঘটনার সাথে কারো জড়িত থাকার খবর পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।