বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রুট

লঞ্চগুলো ফাঁকা, আরামদায়ক ভ্রমণে ঘরমুখী যাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥
লঞ্চগুলো ফাঁকা, আরামদায়ক ভ্রমণে ঘরমুখী যাত্রীরা

ঈদুল ফিতর খুবই সন্নিকটে। ঠিক এই মুহূর্তে আগের বছরগুলোতে সদরঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাটে লঞ্চ আসতো। কিন্তু এ বছর চিত্র ভিন্ন। সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। যাত্রীদের জন্যে বাড়ি ফেরা হচ্ছে আরামদায়ক ভ্রমণে। স্বাভাবিক সময়ের মত যাত্রী নিয়ে আধা ঘন্টা পর পর লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়ছে। ঈদ উপলক্ষে এই রুটে ২৪টি বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল করছে।

৮ এপ্রিল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত লঞ্চঘাটে অবস্থান করে সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা এমভি সোনারতরী, ময়ুর-২, এমভি মিতালী-৭ এবং বোগদাদিয়া লঞ্চের যাত্রী সংখ্যা খুবই কম দেখা গেল।

এমভি মিতালীর যাত্রী মফিজুল ইসলাম খান বলেন, অন্য বছর এই সময়ে লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা থাকতো অনেক। সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা দাঁড়িয়ে চাঁদপুরে এসেছি। তবে এবারের লঞ্চ যাত্রা খুবই আরামদায়ক হয়েছে। তিনি চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকার বাসিন্দা।

ঢাকা থেকে আসা মতলব দক্ষিণের যাত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে এসেছি। এবারের যাত্রা খুবই আরামদায়ক হয়েছে। কোনো কষ্টই মনে হয়নি।

ঢাকায় প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন শরীফ হোসেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে। তিনি বলেন, লঞ্চে ভ্রমণ আরামদায়ক হওয়ার কারণে সব সময় ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে বাড়িতে যাই। তবে এবার লঞ্চে কোন ভিড় নেই, ভাড়াও আগের মতো।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দায়িত্বরত বিআইডাব্লিউটিএ’র ট্রাফিক পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, বিগত বছরগুলোতে এমন যাত্রী ছিল যে, ঘাটে দাঁড়ানোর অবস্থা ছিলো না। তবে এবার যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। আগামীকাল (আজ) যদি যাত্রী আরো বেশিও থাকে তাতে কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের ২৪ টি বিলাসবহুল লঞ্চ আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া আর কোনো ধরনের সমস্যা নেই।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান দুপুরে লঞ্চঘাট পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি যাত্রী ও অটোরিকশা চালকদের মাঝে সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। তিনি বলেন, ঈদে সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো যাতে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছাতে পারে, কোনো ধরনের ডাকাতি কিংবা অন্য ঘটনার শিকার না হয়, সে জন্যে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে। ঘাটে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যাত্রীরা কোনো ধরনের হয়রানির অভিযোগ করলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়