প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
নদীতে নৌ পুলিশের অভিযান
২৪ ঘণ্টায় বালু জাহাজের ৬ জনসহ ১৯ জেলে আটক
পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে নিষিদ্ধ সময়ে জাটকাসহ মাছ ধরতে গিয়ে চাঁদপুর নৌ থানার ২৪ ঘন্টার অভিযানে আরো ১৯ জেলে আটক হয়েছে। অভিযান চলে গত ৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট পর্যন্ত। গতকাল ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশের এক প্রেস নোটে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গ্রেফতারকৃত মোট আসামী ১৯। শনিবার সকাল ৯টার সময় চাঁদপুর সদর মডেল থানাধীন লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নস্থ বহরিয়া নামক স্থানের মেঘনা নদী থেকে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শিপন সিকদার (৩১), মোঃ ইমরান খান (২৬), মোঃ এমরান গাজী (২২), মোঃ মানিক খান (২৮), মোঃ রাসেল বেপারী (২০), সাগর হোসাইন (১৯), আব্দুর রহমান (১৫) ও মোঃ শুক্কর আলী (১২)কে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ২০০০ বর্গমিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ২টি ইঞ্জিনচালিত জেলে নৌকা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। আটক ৮ অসাধু জেলের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ২টি নিয়মিত মামলা দায়ের এবং ২জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া একই দিন নৌ পুলিশের আরেক অভিযানে দুপুর সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর সদর মডেল থানাধীন রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নস্থ মিনি কক্সবাজার নামক স্থানের মেঘনা নদী হতে ঝুঁকিপূর্ণ বেপরোয়া গতির বালুর জাহাজ বাল্কহেড ৩টি আটকপূর্বক ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন মোহাম্মদ মোজাম্মেল সরদার (৪৬), মোঃ শাহীন (২৫), মোঃ শাহাদাত আকন (৩০), মোঃ লিয়ন হাওলাদার (২৪), মোঃ রাসেল (৩৭) ও মোঃ মহিবুল্লাহ (২২)। এরা সবাই বালুবহনকারী জাহাজের স্টাফ। তাদের হেফাজত হতে ৩টি স্টীলের তৈরি বাল্কহেড আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। এ সংক্রান্তে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ৬জন আসামীর বিরুদ্ধে ৩টি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ফোর্সসহ মোঃ আসাদুজ্জামান সরকার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চাঁদপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব যৌথ অভিযান পরিচালনা করে চাঁদপুর সদর মডেল থানাধীন পদ্মা ও মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আল ইসলাম (১৮), মঞ্জুর হোসেন (১৯), মোঃ সিরাজুল ইসলাম (২৫), আব্দুল মালেক (২২) ও আনোয়ার মোল্লা (৪২) এই পাঁচজন জেলেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১টি ইঞ্জিন চালিত জেলে নৌকা জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ৫ আসামীকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা প্রদান করা হয়।