রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
  •   জার্মানিতে কঠিন হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয়
  •   ইতালির দ্বীপে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২১
  •   অভিভাবকহীনতায় দিশেহারা চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা
  •   আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

বিএডিসির সেচ প্রকল্পসহ বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিবে

সওজের ৩০ ফুট খালে অনুমোদনহীন ১০ ফুটের কালভার্ট

কামরুজ্জামান টুটুল ॥
সওজের ৩০ ফুট খালে অনুমোদনহীন ১০ ফুটের কালভার্ট

চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর পাশ ঘেঁষে চলে যাওয়া খালের মাঝখানে ছোট বক্স কালভার্ট করে কালভার্টের দুইপাশ ভরাট করে বাড়ির রাস্তা নির্মাণ কাজে এগিয়েছেন ৫০ ভাগ। আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দিনে দুপুরে অনুমোদনহীনভাবে একাধিক ইরি, বোরো সেচ প্রকল্পের পানি নিষ্কাশনের খাল দখল করে ভরাটের দায় কীভাবে এড়িয়ে যাবেন সওজ, বিএডিসি কিংবা প্রশাসন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের কৈয়ারপুলের রেলক্রসিংয়ের পশ্চিমে সাতবাড়িয়া ব্রীজ সংলগ্ন সওজের ব্রীজের বটগাছ সংলগ্ন খালের উত্তর অংশে। যৌথভাবে বক্স কালভার্ট করছেন ৫নং সদর ইউনিয়নের সিদলা পাঠান বাড়ির আঃ মালেক ও বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামের মনির হোসেন। এর মধ্যে মনির হোসেনের বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে ও সরজমিনে দেখা যায়, চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর পাশ ঘেঁষে চলে যাওয়া খালটির একক মালিকানা সড়ক ও জনপথ বিভাগ চাঁদপুর-এর। সওজের সড়কে কিছু পর পর ব্রিজ কালভার্ট রয়েছে। মূলত ব্রিজ-কালভার্টগুলোর নিচ দিয়ে সড়কের উত্তর অঞ্চলের পানি দক্ষিণ অঞ্চল হয়ে ডাকাতিয়াতে নামে। সওজের খাল আর ব্রিজ কালভার্ট হয়ে পানি না নামতে পারলে সড়কের উত্তর অংশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিবে আর মাঠের পর মাঠে ইরি বোরোসহ সকল ফসল নষ্ট হযে যাবে। কুচির বিল, সিদলা বিল আর ফুলছোঁয়া বিলের পানি নিষ্কাশনের খালের মাঝখানে ১০ ফুটের কালভার্ট করে নতুন বাড়ির রাস্তা করছেন আব্দুল মালেক আর মনির হোসেন নামের দুই ব্যক্তি। এই দুজন খালের মাঝখানে ছোট কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এর আগে কালভার্ট স্থানটিতে বালি দিয়ে পুরো খালটি ভরাটের উদ্যোগ নিলে স্থানীয় কৃষকরা তা রুখে দেন। তাৎক্ষণিক সেই সময় হাজীগঞ্জের ইউএনও রাশেদুল ইসলাম উদ্যোগ নিলে সেই সময় খাল ভরাট ভেস্তে যায়। সম্প্রতি একই স্থানে ভরাট না করে খালে অনুমোদনহীন বক্স কালভার্ট করার কাজ শুরু করেন ব্যক্তিদ্বয়।

বক্স কালভার্ট নির্মাণ কাজের বিষয়ে কথা হয় নির্মাণকারীদের একজন আব্দুল মালেকের সাথে। তিনি জানান, যখন বালি দিয়ে খাল ভরাট করতে গেছি তখন এলাকাবাসী বাধা দিলে আমরা কাজ বন্ধ রাখি। সে সময় অফিসার বলেছেন কালভার্ট করে নিতাম। ‘খাল তো সওজের, তারা কি আপনাকে এটা করার অনুমতি দিয়েছে কিনা’ জানতে চাইলে তিনি চুপ করে থাকেন।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কার্যালয়ের এসএই মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, আমি অফিসের কাজে চাঁদপুর এসেছি, আজকে যেতে পারবো না। চাঁদপুর সওজের এসএই মারুফ হোসেন জানান, আমি এখন লোক পাঠিয়ে খবর নিচ্ছি।

হাজীগঞ্জ বিএডিসির প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ জানান, মাঠে যাদের জমি রয়েছে তাদেরকে বলেন, আমাকে বা ইউএনও স্যারকে একটা লিখিত অভিযোগ জানাতে। তারপরেও আমি বের হলে সরজমিনে দেখে আসবো। তাছাড়া খালটি সওজের মালিকানা হওয়ার কারণে তারাই তো ব্যবস্থা নিতে পারে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীলকে বিষয়টি দ্বিতীয় বার জানানোর পরে তিনি মুঠোফোনে জানান, আমি দেখছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়