প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
প্রেস কনফারেন্সে চোর আটকের কথা জানালো ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ
থানায় মামলা করতে এসে মন্দিরে চুরি ॥ মালামালসহ চোর আটক
মাদক সেবন নিয়ে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হয়ে থানায় মামলা করতে এসে থানার সামনের মন্দিরের দানবাক্স থেকে টাকা চুরি করে শেষ রক্ষা হয়নি আকতার হোসেন (২৫)-এর। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চুরির ঘটনার ১০ ঘন্টার মধ্যে পুলিশের জালে আটক হয় সে। ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে প্রেস কনফারেন্সে এ কথা জানায় থানা পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে থানার ওসি মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে আকতার হোসেন একজন পেশাদার চোর। তার আতঙ্কে থাকে নিজ গ্রামের লোকজনও। চুরি করতে গিয়ে সে এলাকাবাসীর হাতে অন্তত ১০/১৫ বার গণপিটুনির শিকার হয়েছে। সর্বশেষ ক’দিন পূর্বে আকতার মাদক সেবন করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়।
৫ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সে থানায় আসে মারধরের ঘটনায় মামলা করতে। গভীর রাত হওয়ায় সে থানার মুখোমুখি থাকা উপজেলার কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়ার ভিতরে প্রবেশ করে দানবাক্স ভেঙ্গে টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়।
থানার নাকের ডগায় চুরির ঘটনায় থানা পুলিশ থানার এবং মন্দিরের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করে। পরে অভিযান চালিয়ে ৬ ডিসেম্বর বুধবার অভিযুক্ত আকতার হোসেনকে সন্তোষপুর গ্রামের তার বাড়ি থেকে আটক করে এবং চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ আরো জানায়, তার বিরুদ্ধে থানায় মাত্র পূর্বের একটি ঘটনায় মামলা রয়েছে। চুরির ঘটনায় কেউ মামলা করতে চায় না। ইতিপূর্বে সে চুরির ঘটনায় জেলে গেলে সেখানেও চুরি করে। মারধরের শিকায় হয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার সময় ওই চিকিৎসকের অর্থ চুরি করে সে। এ কথা সে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। প্রেসব্রিফিংকালে ওসি (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল, প্রেসক্লাবের সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠানসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।