সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যায় মায়া চৌধুরী
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার পক্ষের আইনজীবী। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং চাঁদপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলামের কার্যালয়ে মায়া চৌধুরীর পক্ষে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পক্ষের আইনজীবী মোঃ সেলিম মিয়া। তিনি বলেন, নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের নির্দেশ অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে অনুসন্ধান কমিটি।

মায়া চৌধুরী লিখিত ব্যাখ্যায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর ৭ (গ) বিধি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং প্রার্থীর অভিযোগপত্রে বর্ণিত অভিযোগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। গত ২ ডিসেম্বর আমার বড় ছেলে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর পূর্বে গত ২৭ নভেম্বর থেকে আমি ও আমার রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা শোকার্ত। ওই সময় থেকে আমি ও আমার পরিবার চিকিৎসা এবং অন্যান্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয় যে, গত ১ ডিসেম্বর মোটরসাইকেল নিয়ে হুমকি-ধমকি বা অন্য কোনো বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি চাঁদপুর-২ আসনে দুবার সংসদ সদস্য ছিলাম এবং মন্ত্রী ছিলাম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আমি শতভাগ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নির্বাচনী আচরণ সম্পর্কে অবগত। আমি আমার কর্মী-সমর্থক এবং আমার দলের নেতা-কর্মীদেরকে তফসিল ঘোষিত নির্বাচনী প্রচারণার সময় ব্যতিরেকে নির্বাচনী প্রচারণাকার্য না করার জন্যে নির্দেশ দিয়েছি।

মায়া চৌধুরী বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের কাছে আমার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা এবং আমাকে হয়রানির অসৎ উদ্দেশ্যে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। সর্বোপরি বলতে পারি, নির্বাচনী বিধিমালা অনুসরণ করে সকল প্রকার নির্বাচনী কর্মকাণ্ড করার ক্ষেত্রে আমার কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। কোনো ব্যক্তি আমার অজ্ঞাতসারে কোনো অপরাধজনক কর্মকাণ্ড করলে আমি তার দায়ভার নিবো না।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে আচরণবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্যে নির্দেশ করেন।

ওই নির্দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান লিখিত অভিযোগ করেন, বিগত ৩০ নভেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকে একই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সমর্থক ও আশ্রয়কৃত সন্ত্রাসী বাহিনী নানাভাবে স্বতন্ত্র সমর্থক ও এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়িতে হামলা করে বাড়ি-ঘর ভাংচুর, মারধর করে শারীরিকভাবে আহত করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করে। তারা হুমকি প্রদান করে যে, যারাই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, বিগত ১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল ৪টায় প্রতিপক্ষ কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোবান সরকার সুবা ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মোটরসাইকেল মহড়া দেয় এবং প্রার্থীর বাড়িতে প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করেন। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করবে তাদের চোখ তুলে ফেলবেন এবং ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিবেন।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং চাঁদপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে আমরা ব্যখ্যা চেয়েছি। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়