প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
মহান মুক্তিযুদ্ধে মতলবের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রয়েছে এক গৌরবময় ইতিহাস। মার্চের শেষ সপ্তাহে বঙ্গবন্ধুর ডাকে আওয়ামী সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ মিজান চৌধুরী, আব্দুর রব, আঃ করিম পাটোয়ারী, অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডঃ আবু জাফর মোহাম্মদ মাঈনউদ্দীন, আব্দুল আউয়াল, ডাঃ আঃ সাত্তার প্রমুখের উদ্যোগে চাঁদপুরে একটি সভা ডাকা হয়। উক্ত সভায় মতলবের ফ্লাইট লেঃ এবি সিদ্দিক, গোলাম মোর্শেদ ফারুকী ও জয়নাল প্রধানিয়াসহ (যারা আওয়ামী সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন) অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। টাউন হলের উক্ত সভায় ফ্লাইট লেঃ এবি সিদ্দিক এমএলএ-কে কমান্ডার করে পরদিন থেকে আনসার ক্লাবে গেরিলা ট্রেনিং দেয়া শুরু হয়। এই এবি সিদ্দিকের পুত্র হচ্ছেন জাবেদ হাসান সিদ্দিক। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনায় আজ পত্রস্থ করা হলো তার বক্তব্য।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বাবা (যিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা)-এর নাম সংক্ষিপ্ত পরিচয় কী? তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন?
জাবেদ হাসান সিদ্দিক : বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আমার বাবা ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এবি সিদ্দিক (এমএলএ)। তাঁর পিতা মরহুম হাসান আলী সরকার ও মাতা মরহুমা ফয়জুন্নেসা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক চাঁদপুর মহকুমা আওয়ামী সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক মনোনীত যুদ্ধকালীন গেরিলা কমান্ডার। তিনি দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ডিরেক্টর অফ কোঅর্ডিনেশন ছিলেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?
জাবেদ হাসান সিদ্দিক : নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আপনার করণীয় কী কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
জাবেদ হাসান সিদ্দিক : প্রাইমারি স্কুল, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে সপ্তাহে একদিন মুক্তিযুদ্ধের উপর পাঠদানের ব্যবস্থা করা। জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, জাবেদ হাসান সিদ্দিক চাঁদপুর জেলা শাখার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আল ফাত্তাহ জামে মসজিদ ও আড়ং বাজার জামে মসজিদের উপদেষ্টা। তিনি ব্যবসা ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে দুই সন্তানের জনক। তাঁর ছেলে ইনতাজ সিদ্দিক (৭) ও কন্যা নাফিসা আনজুম (৪)।