প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
আজ ৬ ডিসেম্বর কচুয়া মুক্ত দিবস। ৫ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি সেনাদের একটি সুসজ্জিত ব্যাটেলিয়ান কচুয়া-কালিয়াপাড়া রাস্তার পাশে লুন্তি গ্রামে বিশাল বহর থামায়। ৬ ডিসেম্বর কাক ডাকা ভোরে কচুয়া অভিমুখে (সদরের দিকে) তারা মার্চ করতে শুরু করে। স্বল্প সময়ের মধ্যে কচুয়া বাজারে পৌঁছে বাজারটি লুটপাট করে। তাদের একটি গ্রুপ উল্লেখিত লুন্তি গ্রামটি ঘেরাও করে মটারের সেল নিক্ষেপের মাধ্যমে এলাকায় ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করে। ওই সময় তারা গ্রামটিকে পুড়িয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়।
এ অবস্থায় এ গ্রামের নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতি প্রাণ রক্ষায় গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারাও বসে থাকেনি। তারা লুন্তি খন্দকার বাড়ির সামনে কচুয়ার একমাত্র পাকা রাস্তায় ট্রেন্স কাটাসহ বিভিন্নভাবে পাকা রাস্তা কেটে গর্ত করে হানাদারদের বাধা দেয়। এমন অবস্থার এক পর্যায়ে রাজাকাররা ভিন্ন পথে পালিয়ে যাওয়ায় গ্রামটি নিশ্চিত জ্বালাও-পোড়াও এবং লুটপাটের হাত থেকে রক্ষা পায়। এর মাধ্যমে কচুয়া হানাদারমুক্ত হয়।