প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
রোটাঃ কামরুল হাসান সাউদ। ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের রুদ্রগাঁও গামের সাউদ বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হাশমত উল্লাহ সাউদের বড় সন্তান। ফরিদগঞ্জ উপজেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে পুরো জেলায় তিনি একজন সমাজকর্মী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি ফরিদগঞ্জ রোটারী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (চার্টার প্রেসিডেন্ট), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ঢাকা জেলার সভাপতি, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং ফরিদগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে চাঁদপুরের শীর্ষ দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন নিজের কথা, বাবার কথা।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বাবা (যিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা)-এর নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় কী? তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন?
কামরুল হাসান সাউদ : আমার বাবা মরহুম হাশমত উল্লাহ সাউদ। তিনি ১৯৬৩ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউসে চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ২নং সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি যুদ্ধ-পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। প্রধান অর্থ সংগ্রহকারী হিসেবে কয়েকবার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। তাঁর সিদ্ধিরগঞ্জ যুদ্ধের ওপর বাংলা সিনেমা নির্মিত হয়েছে। যেই যুদ্ধের কথা সিনেমাটিতে বিবৃত হয়েছে। সেই যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?
কামরুল হাসান সাউদ : আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসেবে গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাণ্ডপরবর্তী সময়ে দেশের প্রতি তাঁর কর্মকাণ্ডে আমি গর্বিত। তিনি আমৃত্যু দেশের জন্যে কাজ করেছেন। তাঁর সন্তান হিসেবে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে লালন করি। তাঁদের কারণেই আমরা একটি পতাকা এবং একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আজ আমরা রাতে নিশ্চিন্তে যেমন ঘুমাতে যেতে পারছি, তেমনি সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে নিঃশ্বাস নিতে পারছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আপনার করণীয় কী কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
কামরুল হাসান সাউদ : আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আমাদের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে অনেক কিছুই করণীয় রয়েছে। আমার বাবাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে জাতির পিতার আহ্বানে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এখন স্বাধীনতার পর তার সন্তান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আরো বেশি। জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের জোরালো ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ-জাতি যাতে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্যে ভূমিকা রাখা, জাতির পিতার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে সহাযোগিতা করা, আবার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমাদের করণীয়। আমার বাবাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন দেশের জন্যে লড়াই করেছেন। তাঁদের সন্তান হিসেবে আমাদের করণীয় হচ্ছে, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লড়াইয়ে সামিল হওয়া।